পরমাণু বোমা ফেটেই মঙ্গলের রঙ লাল!

পৃথিবীর নিকটতম প্রতিবেশী হওয়ায় মঙ্গলের প্রতি আগ্রহের কমতি নেই এ গ্রহের বাসিন্দাদের মধ্যে। সেই আগ্রহে এবার বিনোদনের বাড়তি খোরাক জুগিয়েছেন এক টিকটক সেলিব্রেটি। ওই টিকটক ইউজার দাবি করেছেন, এখন মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসবাস নেই ঠিকই। কিন্তু অতীতে ছিল! এমনকী এই গ্রহ আদৌ লাল রঙেরও ছিল না। মানুষই পরমাণু বোমা ফাটিয়ে মঙ্গলকে রক্তবর্ণের করে তুলেছে! বিজ্ঞানীদের চোখ কপালে তুলে দেওয়া এই আজগুবি থিওরি দারুণ বিনোদন জুগিয়েছে নেটিজেনদের।

ক্র্যাকহেড জো ডার্ট। এমনটাই নাম ওই টিকটক ইউজারের। আরেক ইউজার প্রশ্ন তুলেছিলেন, কোন কন্সপিরেসি থিওরি আপনার মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে? তার উত্তরেই মঙ্গলের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ক্র্যাকহেড। তার দাবি, মঙ্গল চিরকাল লাল ছিল না। জানতে চান কেন তা লাল হল? ২০ লক্ষ বছরেই এতটা বদলে গেল?

পরে নিজেই নিজের প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, মঙ্গলে নেমে এসেছিল নিউক্লিয়ার শৈত্য। আর সেই কারণেই রং বদলে লাল হয়ে যায় প্রতিবেশী গ্রহটি। কিন্তু কেন ওই নিউক্লিয়ার শৈত্য? তার পিছনে রয়েছে পারমাণবিক বিস্ফোরণ। যার ফলে মঙ্গলের মাটি ঢেকে গিয়েছিল পুরু ছাইয়ে। তাই সূর্যের আলো আর তা ভেদ করতে পারেনি। ফলে সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদগুলি সব নষ্ট হয়ে যায়। আর মঙ্গলও লাল রঙের হয়ে ওঠে।

যে ভিডিওতে এই সব উদ্ভট দাবি করেছেন ওই ইউজার সেখানেই তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, আমার থিওরি এটাই। আমরা মঙ্গল থেকেই এসেছি। সেখানকার সব প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তা ধ্বংসও করে ফেলেছি। মঙ্গলে যে পানির উৎসের কোনও অভাব ছিল না তাও উঠে এসেছে তার দাবিতে।

এই সব থিয়োরি যে একান্তই ‘আষাঢ়ে গল্প’, তা কাউকেই আলাদা করে বলে দিতে হবে না। মঙ্গলের মাটিতে থাকা আয়রন অক্সাইড তথা মরচের কারণেই যে তা ‘মহাকাশের লাল লণ্ঠন’ হয়ে উঠেছে এটা সকলেরই জানা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.