তামিম-মিঠুনের ঝড়ে বাংলাদেশের বড় পুঁজি

মিচেল স্যান্টনারকে সুইপ করে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে তামিম ইকবালের চার, হ্যানরি নিকোলকে পুল করে বাউন্ডারি আদায় করে নেয়া বা ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে জিমি নিশামের বলে মোহাম্মদ মিঠুনের ছক্কা আগের ম্যাচের ব্যাটিং ব্যর্থতা অনেকাংশেই ভুলিয়ে দিয়েছে।

এই দুজনের পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংসে ভর করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে ২৭১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এই ইনিংসের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান অধিনায়ক তামিমের। তিনি ভালো শুরু এনে দিতে না পারলে মিঠুন-মুশফিকুর রহিমদের কাজটা বেশ কঠিনই হয়ে যেত।

হ্যাগলি ওভালে অনুষ্ঠিত হওয়া এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে লিটনকে হারালেও। আগের ম্যাচের মতো দুঃস্বপ্ন চড়াও হতে দেননি তামিম-সৌম্য। এই দুজনে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছেন ৮১ রানের জুটি। এই দুজনের ব্যাটেই ১৪.১ ওভার দলীয় পঞ্চাশ রান পূরণ হয় বাংলাদেশের। সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে স্কয়ার লেগে হ্যানরি নিকোলসের হাতে জীবন পান সৌম্য। এরপর পঞ্চম বলে জেমিসনের ফিরতি ক্যাচে ফিরতে পারতেন তামিমও। তবে ক্যাচ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তামিমের পক্ষে যায়। এরপর তারা জুটির হাফ সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন।

এরপর কিউই স্পিনার মিচেল স্যান্টনারকে পা এগিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে আউট হয়েছেন সৌম্য। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৪৬ বলে ৩২ রান। ৩টি চার এবং ১টি ছক্কায় এই রান করেছেন তিনি। সৌম্য ফিরে গেলে মুশফিককে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস টেনেছেন তামিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ৮৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।

আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে তামিমের এটি পঞ্চাশতম হাফ সেঞ্চুরি। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ব্যক্তিগত ৭৮ রানে রান আউট হয়েছেন তামিম। এর ফলে ১১ চারে সাজানো এই ইনিংসের সমাপ্তি হয় ঝুঁকি নিয়ে রান নিতে গিয়ে। বাকি সময়টায় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হাইলাইটস হয়ে থেকেছেন মিঠুন। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে শেষ পর্যন্ত তিনি ৫৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। যদিও মাঝে মুশফিক ৩২ এবং মাহমুদউল্লাহ ১৬ রান করে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন। আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া শেখ মেহেদী এই ম্যাচে ফিরেছেন ৭ রান করে। শেষ পর্যন্ত সাইফউদ্দিনকে নিয়ে মিঠুন ইনিংস শেষ করে এসেছেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.