পিপি ও তার ভাইকে হত্যা: ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

শরীয়তপুর জেলা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাবীবুর রহমান ও তার ভাই মনির হোসেন হত্যা মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার (২১ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন এ রায় প্রদান করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শহীদ তালুকদার, সফিক কোতোয়াল, শহীদ কোতোয়াল, শাহীন কোতোয়াল, সলেমান সরদার ও মজিবুর তালুকদার।

অপরদিকে যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন, সরোয়ার হোসেন বাবুল তালুকদার, বাবুল খান, ডাবলু তালুকদার ও টোকাই রশিদ। এদের সকলকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মন্টু তালুকদার, আসলাম সরদার, জাকির হোসেন মজনুর দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মার্চ আলোচিত এ মামলায় আদালতে দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। গত ৯ মার্চ ও ১৮ মার্চ রায়ের তারিখ ধার্য থাকলেও তা পিছিয়ে রোববার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

মামলার এজাহার ও বাদীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন জাজিরা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ। ১ অক্টোবরের নির্বাচনে আওরঙ্গের পক্ষে অবস্থান নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ। ওই নির্বাচনে জাজিরা উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়। স্থগিত নির্বাচন নিয়ে ৫ অক্টোবর হাবীবুর রহমানের বাসভবনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে সভা চলছিল। সেখানে হামলা চালান আওরঙ্গ-সমর্থক যুবলীগের সাবেক নেতা সরোয়ার হোসেন বাবুল তালুকদারের লোকজন। তার ভাই মন্টু তালুকদার সেখানে গুলিবিদ্ধ হন। কিছুক্ষণ পর ওই বাসভবনে আবার হামলা হয়। তখন হাবীবুর রহমান ও তার ভাই মনির হোসেন মারা যান।

হাবীবুর রহমান তখন আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মনির হোসেন ছিলেন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.