সিডনিতে ভয়াবহ বন্যা, কয়েক হাজার লোককে সরে যেতে নির্দেশ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে প্রবল বর্ষণ শুরু হলে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষকে ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। অস্ট্রেলিয়া সরকার বলছে, এমন বন্যা ১০০ বছরে একবারই আসে।

দেশটির পূর্ব উপকূলে আজও তীব্র বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। একইসঙ্গে দ্রুত প্রবাহিত পানির সঙ্গে পুরো অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। তাই রোববার (২১ মার্চ) এ নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অস্ট্রেলিয়ার সর্বাধিক জনবহুল অঙ্গরাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসের (এনএসডাব্লিউ) প্রায় ১২টি এলাকা বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে। নদী পরিপূর্ণ হয়ে ভয়াবহ বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। তাই অঞ্চলগুলোর আট মিলিয়ন লোককে সতর্ক করা হয়েছে।

সিডনির জরুরি বিভাগের সহকারী কমিশনার ডিন স্টোরে বলেছেন, অবস্থা খুবই খারাপ। সব কমিউনিটির মানুষকে ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

টেলিভিশন ফুটেজে নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের টারে শহরে নদীতে একটি বাড়ি ভেসে যেতে দেখা গেছে। স্থানীয় মিলনায়তনে প্রায় দেড় শ মানুষ রাতে আশ্রয় নিয়েছেন। দাবানলের সময় এটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

অনুমোদিত আশ্রয়কেন্দ্র ক্লাব টারের প্রধান নির্বাহী পল অ্যালেন বন্যাকে বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রচার মাধ্যম এবিসিকে তিনি বলেন, কিছু স্থানীয় বাসিন্দা বন্যায় সব হারিয়েছেন।

দেশটির জরুরি পরিষেবাগুলো বলছে, তারা একরাতে প্রায় ৬০০ কল পেয়েছে। এতে সাহায্য চাওয়ার আবেদন ছিল। এরমধ্যে ৬০টিরও বেশি কল তাদের বন্যা থেকে উদ্ধারের আবেদনে ছিল। এছাড়া সতর্কতা জারির পর এলাকাবাসী দলে দলে আশ্রয়কেন্দ্রেও যেতে শুরু করেছেন।

দ্য ওরেগামবা ড্যাম সিডনির বেশির ভাগ এলাকায় খাওয়ার পানির জোগান দেয়। শনিবার বিকেলে এটিও প্লাবিত হয়ে যায়। সুপেয় পানির রিজার্ভারে ১৯৯০ সালের পর থেকে এই প্রথম এ ধরনের ঘটনা ঘটল।

সিডনি ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি আর বন্যার কারণে করোনা ভাইরাসের টিকাদান স্থগিত হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টি কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.