২০০৯ সালেই ক্রিকেট ছাড়তে চেয়েছিলেন নারিন

সময়টা ২০০৯ কিংবা ২০১০, দলে সুযোগ না পেয়ে ক্রিকেট ছাড়তে বসেছিলেন সুনীল নারিন। পরিশ্রম করার পরও সুযোগ না পেয়ে তিনি ভেবেছিলেন তাঁর দ্বারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হবে না। সেই নারিনই কি পরবর্তীতে ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছেন বিস্ময় স্পিনার হিসেবে। সেটার জন্য অবশ্য পুরো কৃতিত্ব দিতেই হয় তাঁর বাবা শহীদ নারিনকে।

সে চাইলেও তাঁর বাবা কখনও চাইতেন না ছেলে ক্রিকেট ছাড়ুক। মূলত বাবার পরামর্শেই আবারও ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়েছিলেন এই ক্যারিবিয়ান। বাবার কথা শুনে ক্রিকেট না ছেড়ে সফলও হয়েছেন তিনি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের আই অ্যাম আ নাইট শিরোনামের এক ভিডিওতে ছোটবেলার স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে এমনটা জানিয়েছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে নারিন বলেন, ‘২০০৯-›১০ নাগাদ ঠিক করি, আমি আর ক্রিকেট খেলব না। বহু চেষ্টা করেও ত্রিনিদাদ দলে সুযোগ পাইনি। আর কোনও উপায়ও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তখন বাবা আমাকে অনেক বোঝায়। বলেছিলেন এত দ্রুত ক্রিকেট ছেড়ে দিও না। তোমাকে দেখলেই মনে পড়ে, ছোটবেলা থেকে কত পরিশ্রম করেছো।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুজনে মিলে মাঠে গিয়েছি অনুশীলন করতে। সে সব স্মৃতি এভাবে ছেড়ে আসা যায় নাকি! এত চিন্তা করছ কেন? মাথা ঠান্ডা রাখো। সুযোগ ঠিক আসবে। বাবার কথাগুলো শুনে আর কখনও ক্রিকেট ছাড়ার কথা চিন্তা করিনি। কারণ আমি হাল ছেড়ে দিলেও বাবা ছাড়েনি। বাবা সব সময় চাইতো ব্যাট হাতেও যেন নিজেকে প্রমাণ করতে পারি আমি। এখনও সেই চেষ্টা করে চলেছি।’

নারিন বলেন, ‘ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করতাম ঠিকই। কিন্তু ধৈর্য ধরে ম্যাচ দেখতে ভাল লাগত না। তখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করিনি। প্রত্যেক দিন স্কুল শেষ হওয়ার পরে ক্রিকেট খেলতাম। ট্রেনিং শেষে বাড়ি ফিরতে রাত নটাও বেজে যেত। পরের দিন আবার একই রকমভাবে দিন শুরু করতাম।’

তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে থাকলে লারার ভক্ত হওয়াই স্বাভাবিক। আমিও ওর মতো ব্যাট করার স্বপ্ন দেখতাম। ছোট থেকেই ব্যাট করতে পছন্দ করতাম। এখনও করি। বোলিং তখন দ্বিতীয় পছন্দ ছিল। ১৮-১৯ বছর বয়স হওয়ার পর থেকেই বোলিংকে গুরুত্ব দিতে শুরু করি। ব্যাটিং হয়ে ওঠে দ্বিতীয় পছন্দ।’

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.