বাটলারের ঝড়ে কোহলিদের হার

পাওয়ার প্লে’তে ব্যর্থ টপ অর্ডার। বাকিরাও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ। কিন্তু দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বিরাট কোহলির ৩৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি। শেষ তিন ওভারে ইংল্যান্ডের বোলারদের ওপর চলল তাণ্ডব, পরের ১৮ বলে এলো ৫৭ রান। কোহলি নিজেই যোগ করলেন ১৭ বলে ৪৯ রান।

২০ ওভার শেষে ভারত পেল ৬ উইকেটে ১৫৬ রানের পুঁজি। কোহলি অপরাজিত রইলেন ৪৬ বলে ৭৭ রানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ঋশব পান্ত আর হার্দিক পান্ডিয়া করেন ১৫ বলে ১৭ রান। ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন মার্ক উড।

সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তে ঝড় তুললেন জস বাটলার। রিভার্স সুইপ, দাউন্ড দ্যা গ্রাউন্ডে এসে জোড়া ছক্কা ছাড়াও আক্রমণটা বেশি চালালেন যুবেন্দ্র চহলের ওপর। পেলেন ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি।

এর আগে অবশ্য এই চহলকেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে চতুর্থ ওভারে উইকেট বিলিয়েছেন জেসন রয়। তাতেও কি? বাটলারের সহজাত ব্যাটিংয়ে ১০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮৩ রান। খানিক আগেই ওয়াশিংটন সুন্দরকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ১৮ স্টাম্পিং হন ডেভিড মালান। জনি বেয়ারস্টো এবং বাটলার মিলে ১১তম ওভারে দলকে এনে দেন শতরানের পুঁজি। এমন অবস্থায় জয়ের পথটা সহজই হয়ে গিয়েছিল ইয়ন মরগানের দলের।

শেষ ৭ ওভারে ইংলিশদের প্রয়োজন ৫০ রান। বাটলার তখন অপরাজিত ৪০ বলে ৬৬। এরপর ব্যক্তিগত ৭৬ রানে কোহলির হাতে জীবনও পান তিনি। পৌঁছে যান এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরেও। ১৯তম ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১০ বল হাতে রেখে ইংল্যান্ডের ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন বেয়ারস্টো। বাটলারের ৮৩ এবং বেয়ারস্টো অপরজিত থাকেন ৪০ রানে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে এখন সফরকারীরা। চহল এবং সুন্দর নেন একটি করে উইকেট।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.