ঢামেকের কোভিড আইসিইউতে আগুন, ৩ রোগীর মৃত্যু

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের করোনা ডেডিকেটেড অংশের আইসিইউ ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে তিন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

আজ (১৭ মার্চ) সকালে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ১১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন মাদ্রাসাশিক্ষক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (৪৮), ৮ নম্বর বেডের কিশোর চন্দ্র রায় (বয়স জানা যায়নি) এবং সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রকৌশলী কাজী গোলাম মোস্তফা (৬৬)। তিনজনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ‘যে তিনজন রোগী মারা গেছেন তাদের কেউ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়নি। আপনারা জানেন করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীরা আইসিইউতে থাকে। আজ সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা ছুটে গিয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের প্রথমেই হাসপাতালে অন্যান্য আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। স্থানান্তরের পর তিনজন রোগীর মৃত্যু হয়। এর সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কোনো যোগসূত্র নেই।’

তিনি আরও বলেন, রোগীদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঢামেক করোনা ইউনিটের আইসিইউতে ১৪ জন রোগী ছিলেন, বাকিদের অবস্থা ভালো। আগুনে পুড়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। স্থানান্তরের সময় কারও অক্সিজেন বন্ধ করা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

উপ-পরিচালক আলাউন্দিন আল আজাদ বলেছেন, আইসিইউতে থাকা রোগীদের স্থানান্তরের সময় ওই তিন রোগীর মৃত্যু হয়। তাদের শরীরে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি লাগানো ছিল। আগুন লাগার পর রোগীদের যন্ত্রপাতি খুলে স্থানান্তর করায় এবং সব জায়গায় ওইসব যন্ত্রপাতির সাপোর্ট না থাকায় রোগীদের মৃত্যু হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আর কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।

এর আগে আজ সকাল ৮টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদরদপ্তরের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে আইসিইউর জানালা ভেঙে ধোঁয়া বের করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আইসিইউতে থাকা দু’জন রোগীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.