বইমেলায় হামলার হুমকি নেই: ডিএমপি

এবারের বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যদিও এবারের বইমেলায় এবং প্রকাশকদের ওপর হামলার কোনো হুমকি নেই। তবে বিষয়টি মাথায় রেখেই আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকালে বইমেলায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।

কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন বই প্রকাশ হচ্ছে কি না তাও আমরা খোঁজ রাখছি। আগের ঘটনা মাথায় রেখেই আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছি। কেউ অপরাধমূলক কাজ করছে কি না, সে ব্যাপারেও নজরদারি করছি। যথাসময়ে তথ্য পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

বইমেলা উপলক্ষে ডিএমপির নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের বইমেলায় প্রধানত তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সাদা পোশাকে একটি ব্যবস্থাপনা থাকবে, সিসিটিভি, আর্চওয়ে থাকবে, গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিবির টিম থাকবে। প্রতিটি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে থাকবে, মেলার নির্দিষ্ট প্রবেশ পথ থাকবে, মেলা থেকে বের হওয়ারও নির্দিষ্ট পথ থাকবে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা একটি ভিন্ন সময়ে বইমেলা শুরু করছি। প্রতি বছর আমাদের যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এবারও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা বইমেলায় আসেন তারা প্রবেশ পথে আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন। সবার স্বার্থেই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, মেলায় এবার একটি অতিরিক্ত প্রবেশ পথ যুক্ত করেছি, যার মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট অথবা শিখা চিরন্তন গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে। আপনারা জানেন, রাস্তাঘাটে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে, এজন্য অতিরিক্ত গেট রাখা হয়েছে। এবার কিছু কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিবর্তন করা হয়েছে। আমাদের মোবাইল পেট্রোল থাকবে, ফুট পেট্রোল থাকবে।

করোনা ভাইরাসের বিষয় মাথায় রেখে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোভিডের কারণে একটি বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। যারা মেলায় আসবেন তারা অবশ্যই মাস্ক পরে আসবেন। হাত ধোয়া কিংবা স্যানিটাইজ করার জন্য গেটে ব্যবস্থা থাকবে। মহামারি করোনার মধ্যে এবারের বইমেলা হচ্ছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.