অন্যরকম ‘ছয়’ হোপের

শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করার ম্যাচে ৭২ বলে ৬৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন শাই হোপ। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর শেষ দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের হাফ সেঞ্চুরিটি ছিল টানা ষষ্ঠ। ফলে ওয়ানডেতে টানা ৬ হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডে স্বদেশী গর্ডন গ্রিনিজ ও ক্রিস গেইলকে স্পর্শ করলেন হোপ।

আশ্চর্যজনক বিষয় যে তাঁর ৬টি হাফ সেঞ্চুরিই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গেল বছরের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিনটি ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ১১৫ রানের ইনিংস খেলার পর পরের দুই ম্যাচে করেছিলেন ৫১ ও ৭২ রান। আর এবারের ঘরের মাঠে সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই তিন ম্যাচে টানা হাফ সেঞ্চুরি।

এর আগে দুইবার টানা তিন ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করলেও রেকর্ডের পাতা উল্টাতে পারেননি। এর মাঝে ক্যারিবীয়রা বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেললেও ছিলেন না হোপ। করোনা ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। যে কারণে অন্যান্যদের তুলনায় তাঁর একটু বেশি সময় লাগলো তাঁর।

সর্বকালের সেরা ওপেনারদের একজন ধরা হয় গ্রিনিজকে। যিনি ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের মে মাসের সময়টায় টানা ৬ হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। তাঁর স্বদেশী গেইল করেছিলেন ২০১৮ সালের জুলাই থেকে পরের বছরের মে পর্যন্ত। টানা ৬ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি তিনজন করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের।

নিউজিল্যান্ডের তিন হলেন, অ্যান্ড্রু জোন্স, কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলর। এ ছাড়া একজন করে এই কীর্তি গড়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফ, অস্ট্রেলিয়ার মার্ক ওয়াহ ও আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং। তবে সবচেয়ে বেশি ৯ ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করার রেকর্ডটি পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদের।

পাকিস্তানের সাবেক এই ব্যাটসম্যানের রেকর্ড স্পর্শ করতে আরও ৩ হাফ সেঞ্চুরি লাগবে হোপের। আর পাকিস্তানের কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে যেতে চাইলে করতে হবে টানা আরও ৪টি হাফ সেঞ্চুরি। আর একটি হাফ সেঞ্চুরি করলে নতুন রেকর্ড হবে তাঁর। কারণ ৭/৮ বার টানা হাফ সেঞ্চুরি করার রেকর্ড নেই আর কারও।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.