খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ল

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। তবে তিনি এই সময়ে বিদেশে যেতে পারবেন না।

আজ সোমবার (১৫ মার্চ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন করেছেন। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতও প্রস্তাবের সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে দেশের অভ্যন্তরে বিশেষায়িত চিকিৎসা নেওয়ার শর্তে এ মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

গত বছরের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে নিজ বাসভবন ফিরোজাতেই আছেন খালেদা জিয়া। কিন্তু তাকে বাড়ির ছাদ বা আঙিনায় কখনো দেখা যায়নি বলে জানা গেছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এই বাসার নিরাপত্তাকর্মীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই, বোন, কিংবা ভাইয়ের স্ত্রী আসেন দেখা করতে। এ ছাড়া আসেন চিকিৎসকেরা। দলীয় কোনো নেতা-কর্মীদের দেখা যায় না এখানে।

এর আগে গত সোমবার (৮ মার্চ) খালেদা জিয়ার শাস্তি স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আগের শর্তগুলো বহাল রাখার বিষয়ে তাদের মতামতের কথাও জানায় আইন মন্ত্রণালয়।

আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফায় ৬ মাসের মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৫ মার্চ। আগের মতো মুক্তির বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। একইসঙ্গে এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে।

তবে দেশের মধ্যে যে কোনো হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিতে পারবেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া যদি দেশের ভেতরে বিশেষায়িত চিকিৎসা নেন, সরকারের তাতে কোনো আপত্তি নেই।

গত ২ মার্চ খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে স্থায়ী জামিন ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার। জানা গেছে, শামীম এস্কান্দারের আবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালে খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এই সময়ে তার কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাও সম্ভব হয়নি। তাই চিকিৎসার সুবিধার্থে তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতিও চাওয়া হয় আবেদনে। পরে ওই আবেদন মতামতের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.