মামলা করার নামে ছবির নতুন প্রচারণায় নেমেছেন নির্মাতা ঝন্টু

শুক্রবার সারাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমাটি। ছবিটিকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। ছবিটি চলবে না এমন বক্তব্য করায় চলচ্চিত্রটির নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘির উপর বেশ চটেছেন পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। যার ফলে দীঘির বিরুদ্ধে মামলার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।

বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে দীঘির বিরুদ্ধে আদালতে মানহানি মামলা করেছেন বলে জানান এই প্রবীণ নির্মাতা।

নির্মাতা ঝন্টু বলেন, ‘দীঘি, তার বাবা এবং মামা তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমার সম্মান ১০ কোটি টাকার। পৃথিবীতে সিনেমার গল্প সবচেয়ে বেশি আমি লিখেছি। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র আমি বানিয়েছি। আমার তো ১০ কোটিও কম। আমি এক কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছি। আমার সম্মান তার (দীঘি) থেকে অনেক বেশি।

ঝন্টু আরো বলেন, নায়িকাই বলেছে ছবিটি চলবে না। মানুষ যাবে কেন? এত বড় সাহস! মুক্তির আগে চলবে না বললে তো সে (দীঘি) পরিচালক এবং প্রযোজকদের জন্য হুমকি। এটা কালচার হয়ে যাবে। অন্য নায়ক-নায়িকারাও বলবে।

এদিকে ঝন্টুর আইনজীবীর দাবি, মামলা এখনো হয়নি। ঝন্টু তার কাছে এসে চা খেয়ে চলে গেছেন।

এমন তথ্যের পর পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর সঙ্গে আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি মামলাটি করেছি।’এরপর তার কাছে মামলা নম্বর চাওয়া হলে তিনি বলেন, খোদার কসম, আমি মামলা নম্বর জানি না। আমি সই করে চলে এসেছি। বাকিটা উনি (অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফোরকান মিঞা) জানেন।

তারপর আবারও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফোরকান মিঞার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সে সময় তিনি বলেন, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু মামলা করার ব্যাপারটি নিশ্চিত করছেন। উনি আসলে কোথায় সাক্ষর করেছেন, এমন প্রশ্নে আইনজীবীর উত্তর, উনি স্বাক্ষর করেননি।

প্রসঙ্গত, কাজী হায়াতের ‘কাবুলীওয়ালা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ে দিঘীকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেয়। এরপর চাচ্চু, দাদীমা, এক টাকার বউ চলচ্চিত্রগুলো তাকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে দিয়েছে। ২০১২ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘ছোট্ট সংসার’ ছবিতে শেষবার দেখা গিয়েছিল দিঘীকে। দীর্ঘ আট বছর পর দিঘী ফিরলেন নায়িকা হয়ে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.