শিশুকে ‘সশ্রম কারাদণ্ড’, বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চাইলেন হাইকোর্ট

বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের এক মামলায় দুটি ধারায় এক শিশুকে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারককে শোকজ করে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই শিশুর জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে করা জেল আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানিতে বিষয়টি নজরে এলে ওই আদেশ দেওয়া হয়।

চার সপ্তাহের মধ্যে যশোরের শিশু আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক মাহমুদা খাতুনকে ওই বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে। আর হাইকোর্ট জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে শিশুটিকে এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছেন।

আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।

মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এ মামলাটি জেল আপিল হিসেবে আদালতে এসেছে। তাতে দেখা গেছে, ওই বিচারক শিশুকে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন, যা শিশু আইনে নেই। বিষয়টি দেখে আদালত ওই শিশুকে জামিন দিয়েছেন এবং যশোরের শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারককে শোকজ করে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৯ মার্চ যশোরের ঝিকরগাছা থানার বাকঁড়াবাজার এলাকার টিক্কার দোকানের সামনে ওই শিশুর কাছে থাকা কালো ব্যাগে বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে ঝিকরগাছা থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর শিশুকে দুটি ধারায় তিন বছর এবং আরেকটি ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে এ মামলায় শিশু কারাগার থেকে জেল আপিল করেন। সেই আপিল দেখে আদালত এ আদেশ দেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.