ফেসবুকে বিদেশি বন্ধু সেজে ৮৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা

দেশে বসেই বিদেশি সেজে অনলাইনের মাধ্যমে প্রতারণা করে ৮৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। চক্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। তবে শেষ পর্যন্ত একজন ভুক্তভোগীর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম।

আজ বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আতিকুর রহমান (৪১) নামে একজন ভুক্তভোগীর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের একটি দল অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের মানিকদি ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। চক্রের সদস্যরা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- সাইফুল ইসলাম আরিফ (৩২), ওমর ফারুক রনি (৪০), আনিছুর রহমান (২৬) ও শহিদুল ইসলাম সোহেল (৩৬)।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, ভুক্তভোগী আতিকুর রহমানকে বিদেশি পরিচয় দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে উপহার হিসেবে পার্সেলে ইউএস ডলার পাঠানোর কথা বলে চক্রটি। একপর্যায়ে আতিকুর রহমানের সম্মতি পেয়ে উপহারটি তার নামে বিমানবন্দরে পাঠানোর কথা বলে চক্রটি।

সিআইডির কর্মকর্তা বলেন, পরবর্তীতে তাদের সহযোগী কাস্টমস অফিসার পরিচয় দিয়ে আতিকুর রহমানকে ফোনে পার্সেল আসার কথা এবং সেই পার্সেল স্ক্যান করে বিপুল পরিমাণ ইউএস ডলার আছে বলে জানায়। তারা পার্সেল সংগ্রহ, লিগালাইজেশন, ইন্টারন্যাশনাল মর্টগেজের কথা বলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সর্বমোট ৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা অপরাধ স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডি জানায়, তারা ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে যৌথ ব্যবসার মূলধন সংগ্রহ ও বিদেশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.