স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ গ্রাহকদের আরও শক্তিশালী ফোরজি সেবা নিশ্চিত করবে: গ্রামীণফোন

গ্রাহকসেবার মান সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত স্পেকট্রাম নিলামে অতিরিক্ত ১০.৪ মেগাহার্টজ অধিগ্রহণের ফলে গ্রামীণফোনের সর্বমোট স্পেকট্রামের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭.৪ মেগাহার্টজ।

গ্রামীণফোনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী এবং প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ইয়েন্স বেকার বলেন, একটি সফল ও স্বচ্ছ নিলাম পরিচালনা করার জন্য আমরা বিটিআরসি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। এ নিলামের ফল দেশ, টেলিকম খাত এবং গ্রাহকদের জন্য ভালো ফল নিয়ে আসবে। অতিরিক্ত এ স্পেকট্রামের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগে আরও বেশি অবদান রাখতে এবং শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান উচ্চগতির ইন্টারনেট চাহিদা মেটাতে গ্রামীণফোনকে আরও বেশি সমর্থ করে তুলবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবাদানে বিটিআরসি ও আমাদের যৌথ-লক্ষ্য রয়েছে এবং এ দায়িত্ব পূরণে আমরা বদ্ধপরিকর।

এই নিলামের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্ভাবনার দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো। নিলামের ইতিবাচক ফলাফল দেশের জনগণকে মানসম্পন্ন কানেক্টিভিটি সুবিধা দানের লক্ষ্যের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতিকে দৃশ্যমান করেছে।

অতিরিক্ত স্পেকট্রামের মাধ্যমে গ্রাহকদের ফোরজি ব্যবহার অভিজ্ঞতা এবং সেবা গ্রহণের মান সমন্নত করার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে কাজ করবে গ্রামীণফোন। সর্বোচ্চ সংখ্যক ফোরজি সাইটের মাধ্যমে বিস্তৃত ফোরজি কাভারেজ নিশ্চিতে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। ডিজিটালাইজেশন ও অসংখ্য সম্ভাবনার সংযুক্তির মাধ্যমে নানা সুযোগ উন্মোচনে গ্রামীণফোনের লক্ষ্য স্বাধীনতা দিবসে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণে সব সাইট ফোরজি রূপান্তর করা।

১৯৯৭ সাল থেকে গ্রামীণফোন প্রতিনিয়ত এর নেটওয়ার্কের আধুনিককরণের জন্য বিনিয়োগ, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করে আসছে এবং একই সাথে এর বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ও সেবার মাধ্যমে সামাজিক ক্ষমতায়নে ভূমিকা রেখে আসছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.