নানা জটিলতার পর বনানী কবরস্থানেই সমাহিত শাহীন আলম

অবশেষে বনানী কবরস্থানেই সমাহিত হলেন নায়ক শাহীন আলম। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় চিত্রনায়ক ওমর সানি এবং শাহীন আলমের পরিবাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বাদ ফজর নিকেতন মসজিদে তার জানাজা হয়। সেখানে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কাউকে দেখা যায়নি।

জানা গেছে, সকালে বনানী কবরস্থানে শাহীন আলমের লাশ দাফন করতে এসে চরম বিপাকে পড়েন তার ছেলে ফাহিম আলম। অসহায়ের মতো কবরস্থানের সামনে বাবার মরহেদ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।

ফাহিম বলেন, আমার বাবার লাশ বনানী কবরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে এসেছি। এখানে আমার চাচার কবরের স্থানে বাবার মরদেহ দাফনের কথা ছিল। কিন্তু কবর কমিটির লোকেরা তাতে বাধা দেয়। তাদের বক্তব্য, মেয়রের অনুমতি নিয়ে সেখানে দাফন করতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরে শাহীন আলম কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন। সমস্যা গুরতর আকার ধারণ করায় সোমবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। পরে রাত ১০টা ৫ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান বাংলা সিনেমার এই নায়ক।

ঢাকায় বেড়ে ওঠা শাহীন আলম শুরুতে মঞ্চে অভিনয় করতেন। ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সিনেমায় পা রাখেন তিনি। ১৯৯১ সালে শাহীন অভিনীত ‘মায়ের কান্না’ সিনেমাটি মুক্তির পর নজরে আসেন তিনি। একসঙ্গে সাতটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন শাহীন। এরপর দেড় শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা।

শাহীন আলম অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘ঘাটের মাঝি’, ‘এক পলকে’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘চাঁদাবাজ’, ‘প্রেম প্রতিশোধ’, ‘টাইগার’, ‘রাগ-অনুরাগ’, ‘দাগি সন্তান’, ‘বাঘা-বাঘিনী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আরিফ লায়লা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘অজানা শত্রু’, ‘গরিবের সংসার’, ‘দেশদ্রোহী’, ‘আমার মা’, ‘পাগলা বাবুল’, ‘তেজী’, ‘শক্তির লড়াই’, ‘দলপতি’, ‘পাপী সন্তান’, ‘ঢাকাইয়া মাস্তান’, ‘বিগবস’, ‘বাবা’, ‘বাঘের বাচ্চা’, ‘বিদ্রোহী সালাউদ্দিন’, ‘তেজী পুরুষ’ ইত্যাদি অন্যতম।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.