ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি-পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা

ধর্ষণের শিকার জীবিত বা মৃত নারীর সব ধরনের ছবি ও পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে, ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি ও পরিচয় প্রকাশ বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারি করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (০৮ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

মানবাধিকার সংগঠন ‘জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনে’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলনের করা রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

পরে মাহফুজুর রহমান মিলন গণমাধ্যমকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি এবং পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার বিধান রয়েছে। তবে অনেকাংশে সে বিধানের বাস্তবায়ন লক্ষণীয় নয়। এমন বাস্তবতায় রিটটি করা হয়।

গত ১৯ জানুয়ারি ধর্ষণের শিকার জীবিত বা মৃত নারীর ছবি ও পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন এ রিট দায়ের করেন। আইন সচিব, তথ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন বলেন, ধর্ষণের শিকার কোনো নারীর ছবি প্রকাশে আইনে বাধা থাকলেও হরহামেশাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে তাদের পরিবারের সদস্যরা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। বিশেষ করে সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের এক শিক্ষার্থীর ছবি দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছবি প্রকাশের ঘটনা আমাদের ব্যথিত করেছে। তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে এ রিট দায়ের করেছিলাম।

এর আগে একটি ইংরেজি দৈনিকে ধর্ষণের শিকার এক শিশুর ছবি প্রকাশ করা হয়। ওই ছবি প্রকাশে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন এক আইনজীবী। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আইনের সংস্পর্শে আসা কোনো শিশুর ছবি বা পরিচয় প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.