‘খালেদা জিয়া দেশের যেকোনো জায়গায় চিকিৎসা নিতে পারবেন’

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশের যেকোনো হাসপাতালে বিশেষায়িত চিকিৎসা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, আবেদনে তারা একটা কথা লিখেছিলেন বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যাপারে। মতামতে বলা হয়েছে দেশের ভিতরে তিনি যদি বিশেষায়িত চিকিৎসা নেন সরকারের তাতে কোনো আপত্তি নেই।

আজ সোমবার (০৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের সময়সীমা বাড়ানো এবং বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য যে আবেদন, সেটি আমাদের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছিল। আমরা যে মতামত দিয়েছি সেটি হলো- আগের মতো তার সাজা স্থগিতের সময়সীমা আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। যে শর্তগুলো আগে ছিল সেই শর্ত সাপেক্ষে এটা বাড়ানো হয়েছে।

দণ্ড মওকুফ করে বিদেশে যাওয়ার আবেদনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা আবেদনপত্র পড়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং এই মতামত দিয়েছি। তবে তার হাসপাতাল কোনো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। তিনি স্পেশালিস্ট কাকে রাখবেন সেই স্বাধীনতা তার রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগে যে দুটি শর্ত ছিল সেই দুটি শর্তই রয়েছে। তারা বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন, এক্ষেত্রে কোন চিকিৎসকে তিনি রাখবেন ‘দ্য চয়েজ উইল বি হার’। স্পেশালিস্ট হিসাবে দেখাতে চান, সেজন্যেই বলা হয়েছে বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি যদি দেশের ভেতরে পদক্ষেপ নেন তবে সরকার কোনো আপত্তি থাকবে না।

প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন কি-না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এটি এখন গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য যাবে। কারণ আগেও এভাবেই হয়েছিল।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ২৫ মার্চ ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে ২৫ মাস কারাভোগের পর সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে। এরপর দ্বিতীয় দফায় ফের ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে মেয়াদ আগামী ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার এ সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য গত মঙ্গলবার (০২ মার্চ) আবেদন করেন। একইসঙ্গে দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কি না সে প্রসঙ্গেও তারা আর্জি জানান। এরপর আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদনটি পাঠানো হবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.