নিউজিল্যান্ড ২-২ অস্ট্রেলিয়া

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজ জয়ের অপেক্ষায় ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ক্যালেন্ডারের পাতা এবং ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে বদলে গেল অস্ট্রেলিয়া দলের ভাগ্যও। পরের দুটি ম্যাচ জিতে এবার সিরিজে সমতা ফেরাল অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবার ওয়েলিংটনে চতুর্থ ম্যাচে স্বাগতিকদের ৫০ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-২ সমতা এনেছে অ্যারন ফিঞ্চের দল।

এদিন টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ১৮ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন ম্যাথিউ ওয়েড। ১৪ রানে তাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মিচেল স্যান্টনার। এরপর আরেক ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন জশুয়া ফিলিপ। কিন্তু সপ্তম ওভারে ১৩ রানে ফেরেন তিনে নামা ফিলিপও। ৪২ রানে দুই সঙ্গী হারালেও হাত খুলেই খেলতে থাকেন ফিঞ্চ। মার্কাস স্টয়নিস-গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা দুই অঙ্কের ঘরে গিয়ে আউট হলেও অধিনায়কের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে অস্ট্রেলিয়া।
তবে দলীয় ১০০’র পুর্বে অ্যাগার এবং ফিঞ্চের হাফ সেঞ্চুরির আগে মিচেল মার্শ ফিরলে শঙ্কা জাগে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। ১৯তম ওভারে ৪৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর কাইল জেমিয়েসনের ওপর তান্ডব চালান ফিঞ্চ। শেষ ওভারে ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন আরও ২৬ রান। অস্ট্রেলিয়া ১৩০ থেকে পৌঁছে যায় ১৫৬ রানে। ফিঞ্চ অপরাজিত থাকেন ৭৯ রানে।

১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে ২১ রান তুলতে হারায় মার্টিন গাপটিলকে। এরপর খানিকটা ধীরগতিতে ব্যাটিং করলে চাপ কমাতে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন টিম শেইফার্ট এবং কেন উইলিয়ামসন। ৮.৪ ওভারে তখন কিউইদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৬ রান। পরের ব্যাটসম্যানরা রান রেটের চাপে আক্রমণাত্মক শট খেলতে গিয়েই উইকেট বিলিয়েছেন। ১৬তম ওভারে শেষ নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে ফিরলে আশা শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের। সে সময় স্বাগতিকদের স্কোর ৮ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান।

শেষের দিকে অবশ্য একাই লড়েছেন কাইল জেমিয়েসন। তাঁর পাঁচ বাউন্ডারিতে ৩০ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে দলীয় ১০০ পার করে নিউজিল্যান্ড। কেন রিচার্ডসনের তৃতীয় শিকার হয়ে তিনি ৩০ রানে ফিরলে ১৮.৫ ওভারেই অল আউট হয় কেন উইলিয়ামনের দল। ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন রিচার্ডসন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.