করোনার কারণে স্থগিত পিএসএল
করোনা ভাইরাসের কারণে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ষষ্ঠ আসরের বাকি ম্যাচগুলো স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। চলমান ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের এই আসরটিতে ইতোমধ্যে ৭ জন ক্রিকেটার এবং ১ জন কর্মী করোনায় পরীক্ষায় পজিটিভ সনাক্ত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর সঙ্গে এক আলোচনায় পিএসএল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মূলত অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সাত জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে অংশগ্রহণকারীদের সুস্থতা নিশ্চিত করাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে পিসিবি। এর আগে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড চলতি আসরে অংশ নেয়া ছয় দলের জন্য পিসিআর টেস্ট, ভ্যাকসিন এবং আইসোলেশন সুবিধার ব্যবস্থা করেছিল।
২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পিএসএলের ষষ্ঠ আসরে মোট ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে ১১টি। আসরের জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে প্রথম প্রশ্ন জাগে পেশোয়ার জালমিকে ঘিরে। দলটির কোচ ও ক্রিকেটার ড্যারেন স্যামি এবং অধিনায়ক ওয়াহাব রিয়াজ বলয়ের নিয়ম ভেঙে দেখা করেন ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকের সঙ্গে।
এরপর নির্দেশনা ঠিকভাবে না মেনেই এই দুই ক্রিকেটারকে পুনরায় অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফেরায় দলটি। এর আগে স্কোয়াডে পর্যাপ্ত ক্রিকেটার না থাকায় লাহোরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতেও অস্বীকৃতি জানায় পেশোয়ার। এছাড়া একাধিক ক্রিকেটারের পরিবারও নিয়ম না মেনে এবং ঠিকভাবে করোনা পরীক্ষা না করে বলয়ে প্রবেশ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
করোনার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে পিএসএলের ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ক্রিকেটারদের সংস্পর্শে আসতেও দেখা গেছে তাঁদের। এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে একের পর এক ক্রিকেটারের করোনা আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসে। এ ছাড়া পিএসএলকে ঘিরে পিসিবির জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ক্রিকেটারদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের টম ব্যান্টন ও ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের ফাওয়াদ আলম এবং লুইস জর্জ।
পিএসএল, স্থগিত
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.