জামিন পেলেন কার্টুনিস্ট কিশোর

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার (০৩ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে গত সোমবার (০১ মার্চ) তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করেন আদালত।

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ছাড়াও কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের জামিন চেয়ে করা আবেদন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য ছিল।

হাইকোর্টের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

শুনানিতে আবেদনকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেছিলেন, গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদ গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে মারা যান। এই পর্যায়ে আদালত এ বিষয়ে একটি হলফনামা আইনজীবীকে জমা দিতে বলেছিলেন।

এরপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের করা ওই মামলায় প্রক্রিয়াগত ত্রুটি ও কার্টুনিস্ট কিশোরের অসুস্থতার কথা জানিয়ে তার জামিনের আর্জি জানান আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। শুনানি শেষে আদালত ৩ মার্চ আবেদনটি আদেশের জন্য রাখেন।

এর আগে ১৩ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখায় এ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার। চার্জশিটে তিন জনকে অভিযুক্ত ও আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভুইয়া, লেখক মুশতাক আহমেদ। চার্জশিটে অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের তাসনীম খলিল, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার। এর মধ্যে লেখক মুশতাক আহমেদ কারাগারে সম্প্রতি মারা গেছেন।

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর যে মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সেটি দায়ের করেছিলেন র‌্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক। গত বছরের ৫ মে কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন; যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.