চমেকে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, কক্ষ ভাঙচুর

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রধান ছাত্রাবাসের অন্তত ১২টি কক্ষ ভাঙচুর করেছেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে আজ মঙ্গলবার (০২ মার্চ) বেলা দুইটার দিকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।

সংঘর্ষ শুরুর পরপরই বিপুল সংখ্যক পুলিশ দ্রুত চমেক হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়। অবশ্য ঘটনার পর দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় ওই এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। নতুন করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মূলত চমেক হাসপাতাল সংলগ্ন চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসের কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই চমেক ও হাসপাতালে একক নিয়ন্ত্রণ ছিল নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচনে ব্যারিস্টার নওফেল এমপি এবং পরবর্তীতে শিক্ষা উপমন্ত্রী হওয়ার পর চমেক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মনোনীত হন। আর তখন থেকেই তার অনুসারীরা চমেকে অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময় দফায় দফায় ছোট-বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গত বছরের ১৩ আগস্ট ছাত্রাবাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে একই বছরের ১২ জুলাই চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারিতে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন। এ ঘটনায় নওফেলের অনুসারী চমেক ছাত্রলীগের নেতা খোরশেদুল আলম বাদী হয়ে ১১ চিকিৎসকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেন। নাছির অনুসারীরাও নওফেল অনুসারীদের বিরুদ্ধে আদালতে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।

এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ছাত্রাবাসের দখল নিয়ে একপক্ষ আরেকপক্ষের ওপর চড়াও হলে সংঘর্ষ লেগে যায়। এ সময় একপক্ষ আরেক পক্ষের ছাত্রাবাসের কয়েকটি কক্ষ ও চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে। ঘটনার জন্য পরষ্পরকে দোষারপ করছেন তারা।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.