বিমানের শিডিউল ঠিক রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ: নবনিযুক্ত সিইও

ফ্লাইটের শিডিউল ঠিক রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ বিমানের নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।

পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় বিমানের ফ্লাইট দেরিতে ছাড়ে স্বীকার করে তিনি বলেন, ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আজ সোমবার (০১ মার্চ) বিকেলে কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয় বলাকায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিনি বিমানের সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন।

আবু সালেহ্‌ মোস্তফা কামাল বলেন, আমি সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে সুন্দরভাবে কাজ করতে চাই। যদি কখনও দেখি আমার কোনও অঙ্গে ক্যান্সার হয়ে গেছে, সেই অঙ্গ ফেলে দিলে বাকি অঙ্গগুলো ঠিকমতো কাজ করবে, সেক্ষেত্রে ক্যানসার আক্রান্ত অঙ্গ ফেলে দিতে কুণ্ঠা বোধ করবো না।

তিনি বলেন, দায়িত্ব নিয়েই আমি বিমানের সবার সঙ্গে বসেছি। আমি সবাইকে বলি, আমি যদি নির্মোহ থাকি, যদি নির্লোভ থাকি তাহলেই বিমানে নির্ভয়ে কাজ করতে পারবে। এই শব্দগুলোর শুদ্ধি অভিযান পরিচালনার সঙ্গে যোগসূত্র আছে।

সবচেয়ে বড় বহর নিয়ে আগামীতে বিমানের পরিকল্পনা কী-এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা কামাল বলেন, কোভিড সংকট ও বাস্তবতার নিরিখে সংকটগুলো চিহ্নিত করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অবস্থার উন্নয়ন এবং নতুন রুট চালুর বিষয়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

দুর্নীতি বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিমানে শুদ্ধি অভিযান চলমান প্রক্রিয়া। নির্মোহ থেকে বাংলাদেশ বিমানকে পরিচালনা করা হবে। কারো জন্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হলে ছাড় দেওয়া হবে না।

বিমানের নবনিযুক্ত এ সিইও আরও বলেন, কোভিড মহামারিতে অনেক এয়ারলাইন্স কর্মী ছাঁটাই করলেও সংকট উত্তরণে বিমান ছাঁটাইয়ের পথে না গিয়ে বেতন কমিয়েছে। কোভিড সংকট ও সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়ন হলে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সবাইকে পুরো বেতন দেওয়া হবে।

এছাড়া বন্ধ থাকা নিয়মিত তিনটি রুটের মধ্যে বরিশাল রুট চালুর বিষয়টি বিবেচনায় আছে বলেও জানান মোস্তফা কামাল।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.