ভারতীয় ভ্যাকসিন নিলেন মোদি

প্রশ্নটা শুরু থেকেই ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন প্রথমেই করোনার ভ্যাকসিন নিলেন না? এতদিন নিজের ভ্যাকসিন নেয়া নিয়ে একটা কথাও বলেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেয়া শেষ হতেই এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হলো। এখন ভ্যাকসিন পাচ্ছেন দেশটির প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সীরা, যাঁদের অন্য গুরুতর রোগ আছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথমেই টিকা নিলেন মোদি। তিনি অক্সফোর্ড-অ্য়াস্ট্রাজেনেকার টিকা নেননি। নিয়েছেন ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের কোভ্য়াকসিন।

টিকা নেয়ার পরই মোদি টুইট করে বলেছেন, ‘কোভিড ১৯-টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছি, এইমসে। আমাদের চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা করোনার বিরুদ্ধে যেভাবে লড়ছেন, তা চমকপ্রদ। করোনার টিকা নেয়ার জন্য যাদের নাম উঠেছে, তাদের ভ্যাকসিন নেয়ার আবেদন জানাচ্ছি। আমরা সকলে মিলে ভারতকে করোনা-মুক্ত করি।’


এর আগে কোভ্যাকসিন নিয়ে ভারতে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী কোভ্য়াকসিন নিতে চাননি। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগে এই ভ্যাকসিন চালু করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে অনেক রাজ্যে ভ্যাকসিন দেয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হয়নি। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই ভ্যাকসিন নিয়ে এটা বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, ভারত বায়োটেকের টিকা নিরাপদ। তিনি নিজে নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভরসা দিতে চেয়েছেন।

টিকা দেয়া হয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি নার্সদের বলেন, ‘হয়ে গেছে। আমি তো কিছু বুঝতেই পারলাম না।’ তিনি নার্সদের জিজ্ঞাসা করেন, তাঁরা আসলে কোন রাজ্যের। নার্সরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন নিতে এসে খুবই স্বচ্ছন্দ্য ছিলেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.