সামিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা ফেরত দিলেন আদালত

কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে প্রতিবেদনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জুলকারনাইন সামি ও তাসনিম খলিলসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। সেই মামলাটি গ্রহণ না করে তা ফেরত দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি গ্রহণের বিষয়ে আইনগত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম।

বিচারক আদেশে বলেন, নথি পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি দায়ের করার ক্ষেত্রে নালিশকারীকে সরকার কর্তৃক কোনো ধরনের অথরটি প্রদান করা হয় নাই। তাই মামলাটি উক্ত নালিশকারী বরাবর ফেরত দেয়া হলো।

এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে মামলাটি করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক। পরের দিন আদালত মামলাটি গ্রহণের বিষয় আদেশের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- আল জাজিরা টেলিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল মোস্তেফা স্যোউয়াগ, শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি, নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডেভিড বার্গম্যান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুনামহানি করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধে লিপ্ত আছে। তারা যৌথভাবে তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নিয়ে ভুয়া মিথ্যা তথ্য-সম্বলিত প্রতিবেদন তৈরি করে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন (All The Prime Minister’s Men)’ নামে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। উক্ত প্রতিবেদন ইউটিউবেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। যা পরদিন বিভিন্ন মুদ্রিত ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ হয়।

মামলায় আরও বলা হয়, আসামিরা উক্ত প্রতিবেদনে কোনো সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট বক্তব্য না দিয়ে এবং তথ্য-উপাত্ত বা দলিলাদি উপস্থাপন না করেই ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধু কিছু ব্যক্তিগত পারিবারিক অনুষ্ঠানাদি ও সাক্ষাৎকারের ছবি ব্যবহার করে। এছাড়া কণ্ঠস্বর সম্পাদনা করে একটি কাল্পনিক ভুয়া, মিথ্যা ও সাজানো তথ্যচিত্রের প্রতিবেদন তৈরি করে। তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে আল জাজিরা টেলিভিশনসহ ইউটিউবের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে অপপ্রচার করেছে। যা দেশ-বিদেশে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের সুনাম-মর্যাদাহানি ঘটিয়েছে। এ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আসামিরা বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১০৯/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.