তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত

রাজশাহী, ইসলামী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে তিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। রাবির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ড. আজিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিলে তো আমাদের কিছুই করার থাকে না। উপাচার্য আদিষ্ট হয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত থাকবে।’

এর আগে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।

নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ থেকে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পরে গত জুলাই থেকে অনলাইন, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিকল্প শিক্ষাদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা ছাড়া অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। তবে কওমি মাদ্রাসাগুলো আরো আগেই খুলে দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের সেশনজটের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবাসিক হল বন্ধ রেখে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়াও শুরু হয়। কিন্তু হল খোলার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, ইসলামী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সোমবার বলেন, ‘এক শ্রেণির মানুষ বর্তমান সরকারকে নানাভাবে ঝামেলায় ফেলার চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে তাদের মতাদর্শের কিছু শিক্ষার্থীদের দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ থাকা আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতে উসকে দেওয়া হচ্ছে।’ এ সময় দীপু মনি যেসব শিক্ষার্থী হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেছে তাদের অবিলম্বে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। হল ত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতরের পর আগামী ২৪ মে’র আগে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনও পরীক্ষা নিতে পারবে না। বিসিএস পরীক্ষার তারিখও সমন্বয় করতে হবে। যেসব পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে তা বন্ধ রাখতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছে। সেসব পরীক্ষাও বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

তিনি আরও জানান, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ১৭ মে থেকে হল খুলে দেওয়া হবে। আর ২৪ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান শুরু হবে। তবে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.