করোনার দোহাই দিয়ে স্কুলের মেনু থেকে মাংস বাদ

স্কুলে লাঞ্চের মেনু থেকে মাংস বাদ দেয়া নিয়ে প্রবল হইচই ফ্লান্সের লিওঁতে। সরকারের অভিযোগ, স্থানীয় মেয়র বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছেন।

ফ্লান্সের লিয়ঁ শহরের স্কুলে লাঞ্চের মেনু থেকে মাংস বাদ দেয়া হয়েছে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে আলোড়ন, বিতর্ক এবং দোষারোপের পালা। লিয়ঁতে বিভিন্ন ধরনের মাংসের পদ খুবই জনপ্রিয় এবং ফরাসিদের মতে, এই শহর হলো তাদের রান্না-রাজধানী।

এহেন লিয়ঁর স্কুলে মাংসের প্রবেশ নিষেধের পর ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এটা দেশের কসাই ও পশুপালকদের অপমান করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ হলো গ্রিন পার্টির এলিটিস্ট পলিসি ও তাদের নীতির রূপায়ণ। তারা ভুলে যাচ্ছেন, অনেক ছাত্রছাত্রীই স্কুলের লাঞ্চে মাংস ছাড়া আর কিছুই খায় না।

শহরের মেয়র ও গ্রিন পর্টির নেতা গ্রেগরি ডুসের যুক্তি, নিছক করোনার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তার আগে যে দক্ষিণপন্থি মেয়র ছিলেন, তিনিও করোনারপ্রকোপ শুরু হওয়ার পর একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্কুলের মেনুতে মাছ এবং ডিম আছে। ফলে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যহানি হবে না।

ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে এমন মাস্ক কার্যকর বলে প্রমাণিত না হলেও এগুলো অন্তত কিছু জীবাণু মুখ কিংবা নাকে যাওয়া ঠেকাতে পারে৷ এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, মাস্ক পরা থাকলে মানুষের হাত যখন-তখন মুখ বা নাকে যায় না৷ আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে এমন মাস্ক অন্যদের আক্রমণ থেকে বাঁচাবে৷

কিন্তু ডুসের সিদ্ধান্তে অনেক রাজনীতিক অসন্তুষ্ট। ফ্রান্সের কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, ”দয়া করে বাচ্চাদের খাবারের প্লেটে মতাদর্শ ঢোকাবেন না। তাদের বেড়ে ওঠার জন্য মাংস খাওয়া জরুরি।” স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের তিনি বলেছেন, এই নির্দেশ পালন করার কোনো দরকার নেই।

রাজনীতিক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, মেয়র যে যুক্তি দিয়েছেন, তাতে বিস্তর ফাঁক আছে। মাংস খাওয়া বন্ধ করে করোনা আটকানো যাবে এমন তত্ত্ব তারা মানতে রাজি নন। তাঁরা মনে করছেন, করোনাকে সামনে রেখে মেয়র তার পার্টির কর্মসূচি রূপায়ণ করতে চাইছেন। সেটাও বাচ্চাদের খাবারের ক্ষেত্রে। তাই এই বিরোধ। সূত্র: ডয়েচে ভেলে

অর্থসূচক/আরএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.