চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

কাজের চাপ হোক, বা মনের অবস্থা। অনেক ক্ষেত্রেই চেহারায় ছাপ পড়ে সেই চাপের। কখনও চোখমুখ শুকনো দেখায়, কখনও, কখনও চুল পড়ে বা চোখের নীচে কালো দাগ হয়ে যায়। যার মধ্যে এখন বেশি ঝামেলায় ফেলছে চোখের তলার এই কালি। মাস্ক পরা সময়ে, নাক-ঠোঁট ঢাকা থাকছে। ফলে গোটা মুখের মধ্যে চোখটাই দেখা যাচ্ছে। যার জেরে চোখের নীচে কালো দাগ থাকলে আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কিন্তু এ কালো দাগ থেকে আপনি মুক্তি পারেন বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়ে।

বরফের টুকরো
একটা পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে কয়েক টুকরো বরফ বেঁধে নিন। তার পরে ধীরে ধীরে চোখের চার পাশে ঠান্ডা সেঁক দিন। এমনটা রোজ করুন। দিনে এক বার করে। কোনও দিন বরফ না থাকলে ঠান্ডা জলও ব্যবহার করতে পারেন। তাতে ভিজিয়ে নেবেন কাপড়। সে ভিজে কাপড় দিয়ে কিছু ক্ষণ ঢেকে রাখবেন চোখ।

ঘুম
ঘুম ভাল হওয়া খুব জরুরি। শারীরিক এবং মানসিক চাপ যাঁদের বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে এ কথা আরও প্রয়োজনীয়। সব সময়ে ঘণ্টা মেপে ঘুমোলেও কাজ হয় না। যদি রোজ আট ঘণ্টা করে ঘুমোনোর পরেও চোখমুখে থাকে ক্লান্তির দাগ, তবে বেশি ক্ষণ ঘুমোন। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন দু’ঘণ্টা করে বেশি ঘুমোন।

মাথা উঁচুতে
ঘুম কম হলে যেমন ক্লান্তির ছাপ পড়ে চোখে, তেমনই ঠিক ভাবে না শুলেও পড়ে। ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে খেয়াল রাখুন, শরীরের বাকি অংশের তুলনায় যেন একটু উঁচু হয় মাথা রাখার ব্যবস্থা। তাতে শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। ফলে চোখের তলায় ফোলা ভাব, কালো দাগ আর থাকে না।

চায়ের ব্যাগ
চোখের উপরে ঠান্ডা চায়ের ব্যাগ কিছু ক্ষণ বুলিয়ে নিলে চাহারা দেখতে ভাল লাগে। চায়ে ক্যাফিন আর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। তাতে রক্তচলাচল ভাল হয়। দিনের যে কোনও সময়ে গরম জলে ভিজিয়ে নিন দু’টি চায়ের ব্যাগ। পাঁচ মিনিট রাখুন। গরম জল থেকে তুলে নিয়ে সেই ব্যাগ দু’টি মিনিট পনেরোর জন্য রেখে দিন ফ্রিজে। ঠান্ডা হয়ে গেলে চোখ বন্ধ করে, দু’টি ব্যাগ রেখে দিন মিনিট দশেকের জন্য। ব্যাগ সরিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
অর্থসূচক/আরএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.