তালা ভেঙে জাবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বিভিন্ন হলে প্রবেশ করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী। শনিবার দুপুরে প্রথমে মেয়েরা ফজিলাতুন্নেসা হলের তালা ভাঙেন। এরপর আল বেরুনী হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন ছেলেরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের ৮টি এবং মেয়েদের ৮টি হল রয়েছে। দুপুর সোয়া ১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একে একে সবগুলো হলের তালা ভাঙছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে মেয়েদের সবগুলো হলের তালা ভাঙা হয়েছে।

হল খুলে দেওয়ার দাবি এবং শিক্ষার্থীদের হলের তালা ভাঙার বিষয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের এবং সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, এই মুহূর্তে সরকারি সিদ্ধান্তর বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খোলার কোনো অভিপ্রায় নেই প্রশাসনের। আমরা শিক্ষার্থীদের পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।

এর আগে হল খুলে দেওয়াসহ ৩ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের অন্য দুই দাবি হচ্ছে- আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয়সহ সংঘর্ষে ক্ষয়ক্ষতির ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়া এলাকায় স্থায়ীভাবে প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে।

এদিকে, উপাচার্য ভবনের গেটের সামনে অবস্থানে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। এছাড়া সহিংস পরিস্থিতি এড়াতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে পুলিশ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়া বাজারে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে জাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়।

এ সময় স্থানীয়দের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের চারটি মোটরসাইকেল ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বেশকিছু দোকান ভাংচুর করার অভিযোগ ওঠে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.