বড় ভাই মান্নাকে স্মরণ করে যা বললেন শাকিব খান

বাংলা চলচ্চিত্রের সুপারস্টার নায়ক মান্না। যিনি তার বাস্তুবধর্মী অভিনয় দিয়ে জয় করে নিয়েছিলেন কোটি ভক্তের মন। সামাজিক, রোমান্টিক, অ্যাকশন- সব ঘরানার সিনেমায় নিজেকে অন্যতম প্রধান নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন।

প্রিয় এই নায়ক চলে যাওয়ার ১৩ বছর পূর্ণ হল আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি)। ২০০৮ সালের এ দিনে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এই সুপারস্টার।

আজ বুধবার এই নায়কের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে তাকে শ্রদ্বাভরে স্মরণ করেছেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের মানুষসহ অসংখ্য ভক্তরা। আর এই নায়কে নিয়ে শাকিব খান তার অফিসিয়াল ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। প্রিয় এই অভিনেতার সাথে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছেন শাকিব খান।

ফেসবুক পোস্টে শাকিব খান লিখেছেন, ‘আপনি ছিলেন আনপ্যারালাল। আপনার কাজগুলোতে আলাদা স্বকীয়তা ছিল। ভীষণ মিস করি আপনাকে। ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আপনার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। প্রিয় মান্না ভাই, যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকুন…!’

নায়ক মান্নার প্রথম ছবি ‘তওবা’। ১৯৮৬ সালে নায়করাজ রাজ্জাকের এক বন্ধুর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত ‘তওবা’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ ঘটে মান্নার। শুরুতে একের পর এক সিনেমায় অ্যান্টি হিরো হিসেবে অভিনয় করেছেন মান্না।

আশির দশকে মান্না যখন ছবিতে অভিনয় শুরু করেন, সে সময় রাজ্জাক, আলমগীর, জসীম, ফারুক, জাফর ইকবাল, ইলিয়াস কাঞ্চনের নায়ক হিসেবে বেশ দাপট। সেই দাপুটে অভিনেতাদের মাঝেও ‘তওবা’, ‘পাগলী’, ‘ছেলে কার’, ‘নিষ্পাপ’, ‘পালকি’, ‘দুঃখিনী মা’, ‘বাদশা ভাই’-এর মতো ব্যবসা-সফল ছবি উপহার দিয়েছেন মান্না।

মান্না অভিনীত প্রথম ছবি ‘তওবা’ হলেও প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবির নাম ‘পাগলী’। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাশেম মালার প্রেম’ ছবিতে প্রথম একক নায়ক হিসেবে সুযোগ পেয়েছিলেন মান্না। এ ছবিটি সুপার হিট হওয়ার কারণে একের পর এক ছবিতে কাজ করার সুযোগ পান মান্না। এরপর কাজী হায়াতের ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে নাঈম-শাবনাজ, সালমান-শাবনূর, ওমর সানী-মৌসুমী জুটি বেশ সফল। তাদের পাশাপাশি মান্নাও দাঁড়িয়ে যান।

১৯৯৬ সালে সালমান শাহের হঠাৎ মৃত্যুতে প্রযোজক-পরিচালকেরা দিশেহারা হয়ে পড়লে সে সময়ে পরিচালকদের চোখে একমাত্র আস্থার নায়ক হিসেবে ধরা দেন মান্না। তিনিও পুরো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার মতো কঠিন দায়িত্বটি নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করেন। ১৯৯৭ সালে নায়ক থেকে প্রযোজনায়ও আসেন মান্না, প্রথম ছবি ‘লুটতরাজ’ সুপারহিট ব্যবসা করে। এরপর বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে শুরু হয় মান্না-অধ্যায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মান্না একাই লড়ে গেছেন। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে তার নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.