প্রোটিয়াদের সমতা ফিরালেন প্রিটোরিয়াস

ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের রেকর্ড গড়া বোলিং পারফরম্যান্সে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকদের দেওয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্য ২২ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে সফরকারীরা। এই জয়ের ফলে প্রোটিয়ারা তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হেনরিক ক্লাসেন। পাকিস্তানকে ১৪৪ রানে আটকে রাখতে সব থেকে বড় অবদান প্রিটোরিয়াসের। তিনি ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট, ম্যাচ সেরারও পুরষ্কার জেতেন এই ডানহাতি পেসার।

ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পাশাপাশি একটি রেকর্ডও গড়েছেন প্রিটোরিয়াস। টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এটাই সেরা বোলিং। এর আগের তাদের হয়ে সেরা বোলিং ফিগারটি ছিল রায়ান ম্যাকলারেনের। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়েচিলেন তিনি।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরুতেই বাবর আজমের উইকেট হারায়। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন প্রিটোরিয়াস। এরপর হায়দায় আলি, হুসাইন তালাত বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন প্রথম টি-টোয়েন্টির সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ রিজওয়ান। দারুণ এক স্লোয়ারে ইফতিখারকে ফিরিয়ে ৪৫ রানের জুটি ভাঙেন ঐ প্রিটোরিয়াসই। এরপর ৪১ বলে ৫১ রান করা রিজওয়ানকেও ফেরান তিনি। খুশদিল শাহকে কট বিহাইন্ড করার পর মোহাম্মদ নওয়াজকে বোল্ড করে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন ৩১ বছর বয়সী এই পেসার।

শেষ দিকে ফাহিম আশরাফ ১২ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাড়ায় ১৪৪ রান। প্রিটোরিয়াসের ৫ উইকেটের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১টি করে উইকেট পান এনডেল পেহেলুকওয়া এবং তাবরিজ সামসি।

রান তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম বলে ইনসাইড এজে বাউন্ডারি পাওয়া ইয়ানেমান মালান বোল্ড হন পরের বলেই। নিজের পরের ওভারে এসে জন-জন স্মটসকেও ফেরান পাকিস্তানি বাঁহাতি পেসার। দ্রুত দুই উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন রেজা হেনড্রিকস ও পিট ফন বিলযন। দুইজনে গড়েন ৫৩ বলে ৭৭ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত তাদের জুটি ভাঙেন কাদিরই। স্লগ সুইপ করে মিড-অনে ক্যাচ দেন হেনড্রিকস। তিনটি করে ছক্কা-চারে ৩০ বলে ৪২ রান করেন এই ওপেনার।

পরের ওভারে ফন বিলিয়োনকে ফেরান মোহাম্মদ নওয়াজ। তিনটি করে ছক্কা ও চারে তিনি ৩২ বলে করেন ৪২ রান। অভিজ্ঞ ডেভিড মিলার ও অধিনায়ক ক্লাসেনের ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের হয়ে আফ্রিদি ২টি এবং নেওয়াজ ও কাদির ১ টি করে উইকেট শিকার করেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.