শেষ ওভারের নাটকীয়তার ৩ রানে জিতল পাকিস্তান

টেস্ট সিরিজে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশের পর এবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরি এবং শেষ ওভারের নাটকীয়তার পরও ৩ রানের জয় পায় বাবর আজমের দল।

১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। কিন্তু ফাহিম আশরাফের বিপক্ষে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা নিতে সক্ষম হয় ১৫ রান। জর্ন ফরচুইন ১৭ এবং ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে।

এর আগে এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উরন্ত সূচনা পায় হেনরিচ ক্লাসেনের দল। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৩ রান তোলার পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন জানেমান মালান। ২৯ বলে ৪৪ রান করে উসমান কাদিরকে উইকেট ছুঁড়ে দেন তিনি। খানিক পর তিনে নামা জ্যাক স্নাইমানকেও বিদায় করেন এই লেগ স্পিনার।

দুই ব্যাটসম্যান ফিরলেও একপ্রান্তে আগলে ধরে বাকিদের নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রিজা হেনড্রিক্স। ডেভিড মিলার ৬ এবং অধিনায়ক ক্লাসেন ১২ রানে ফিরলেও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার। তবে দলীয় ১৩৪ রানের সময় ৫৪ রানে রান আউট হন তিনি।

সে সময় দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়ে যায়। তারপরও শেষ ওভারে জর্ন ফরচুইন এবং ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস মিলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি। পাকিস্তানের হয়ে উসমান কাদির এবং হারিস রউফ নেন ২টি করে উইকেট।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ১৬৯ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। ৬৪ বলে ৭ ছক্কা এবং ৬ চারে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন এই উইকেটরক্ষক। তিনি ছাড়া আর কোন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানই বড় পুঁজি পাননি।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেন হায়দার আলি। হুসাইন তালাত ১৫ এবং খুশদিল শাহ করেন ১২ রান। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন আন্দাইল ফেহলুকাইয়ো। একটি করে উইকেট নেন সিম্পালা, শামসি এবং ফরচুইন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.