মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত একটি কার্যনির্বাহী আদেশে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই পদক্ষেপ মূলত সামরিক নেতৃত্ব, তাদের পরিবার এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যকে লক্ষ্যবস্তু বানাবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মিয়ানমার সরকারের একশ’ কোটি ডলার সেনাবাহিনী যেন ব্যবহার করতে না পারে তারও পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজপথে নেমে আসছে হাজার হাজার মানুষ। সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে গত মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়। যাদের মধ্যে এক নারীর অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা বলছেন, ওই নারীর মাথায় চারটি গুলি লেগেছে। তার বাঁচার আশা ক্ষীণ বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এ ঘটনার জের ধরেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিয়ানমারের অভ্যুত্থানের অবসান এবং অং সান সু চিসহ বেসামরিক নেতাদের মুক্তি দাবি করেছেন। প্রয়োজন পড়লে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের জনগণ তাদের বক্তব্য জোরালো ভাবে শোনাচ্ছেন আর দুনিয়া তা দেখছে। বিক্ষোভ বাড়তে থাকায় গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চাকারীদের ওপর সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য আর আমরা এটি বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কারণে মিয়ানমারের বেশ কয়েক জন সামরিক নেতার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। তারপরও এই সপ্তাহে অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে প্রথম দফার নিষেধাজ্ঞা জোরালো করা হবে বলে সতর্ক করেছেন জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কঠোর রফতানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে যাচ্ছি।’ তবে মিয়ানমারের স্বাস্থ্যসেবা, নাগরিক সমাজ এবং দেশটির জনগণের সরাসরি কল্যাণের সঙ্গে যুক্ত সহায়তা যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।

 

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.