পানীয়তে করোনা রোগীর লালারস মিশিয়ে বসকে খুনের চেষ্টা!

খুন করতে যে কত অভিনব ধরনের আইডিয়া প্রয়োগ করা হয় সেটা থ্রিলার অনুরাগীদের ভালই জানা আছে। কিন্তু করোনা রোগীর লালারস পানীয়তে মিশিয়ে খুন! কল্পনাপ্রবণ লেখকরাও বোধহয় এমনটা ভাবতে পারতেন না।

ছুরি-বন্দুক নয়, নিজের বসকে এভাবেই মেরে ফেলতে চেয়েছিল তুরস্কের এক যুবক। এমন অভিনব ফন্দির কথা আগেভাগে জানতে পারায় তার বস অবশ্য চুমুক দেননি পানীয়র গ্লাসে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন ও হুমকির মামলা করেছেন তিনি।

কিন্তু কেন বসকে মেরে ফেলার ফন্দি এঁটেছিল ওই যুবক? পেশায় গাড়ি ব্যবসায়ী দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের ইব্রাহিম উনভের্দি জানিয়েছেন, তার ওই অধস্তন কর্মী ছিল রীতিমতো বিশ্বস্ত। সেই জন্য সম্প্রতি একটি গাড়ি বিক্রির ২২ লক্ষ টাকা তিনি তার হাতে দিয়ে অফিসে পৌঁছে দিতে বলেন। আর তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি। টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ওই যুবক। সেদিন বার বার ফোন করেও মেলেনি সাড়া। তবে পরের দিন অবশ্য ফোনে উত্তর মিলেছিল। দেনার দায়ে ডুবে যাওয়ায় ওই টাকাগুলো দিয়ে ঋণমুক্ত হওয়ার লোভ সে সামলাতে পারেনি বলে ইব্রাহিমকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় সে।

তবে কেবল টাকা নিয়ে পালানোই নয়, তার আগে বসকে মেরে ফেলতে তার পানীয়তে মিশিয়ে দেয় করোনা রোগীর লালারস! রীতিমতো হাজার পাঁচেক টাকা খরচ করে ওই লালারস কিনেছিল সে। কিন্তু অন্য এক সহকর্মী তা দেখে ফেলেন। তিনিই সাবধান করে দেন ইব্রাহিমকে। সেকথা বসের কাছে স্বীকারও করে নিয়েছে অভিযুক্ত। হুমকি দিয়ে বলেছে, ভাইরাস দিয়ে তো হল না। পরের বার গুলি করে বসের খুলিই উড়িয়ে দেবে সে।

বিশ্বস্ত কর্মীর এই ভোলবদল মানতে পারছেন না ইব্রাহিম। পাশাপাশি পানীয়তে চুমুক দিলে কী হতে পারত, তা ভেবেও শিউরে উঠছেন তিনি। তার কথায়, এই প্রথম খুনের এমন ভয়ানক পদ্ধতির কথা জানলাম। আল্লাহকে ধন্যবাদ আমি অসুস্থ হয়ে পড়িনি। কেবল আমিই নই, বাড়িতে আমার অসুস্থ বাবা-মা রয়েছেন। ওরা আমার থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়লে আর বাঁচানো যেত না। এর থেকে আমাকে গুলি করে মেরে ফেললেও ভাল। তাহলে অন্তত আমি একা মারা যেতাম। বাবা-মা’র কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকত না।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.