‘মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার অবদান কেউ অস্বীকার করবে ভাবতেও পারি না’

কেউ মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান অস্বীকার করবে, এটা আমরা ভাবতেও পারি না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, যারা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন কি না, আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিঙ্গাপুর থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিফোনে গণমাধ্যমকে এই প্রতিক্রিয়া জানান। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৩০ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুরে যান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, তিনি সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের জনগণের কাছে অতি জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার এই অবদান কেউ অস্বীকার করবে, এটা আমরা ভাবতেও পারি না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে বিএনপি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে। প্রতিবাদ কর্মসূচিও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এমন সিদ্ধান্ত গোটা দেশবাসী অবজ্ঞাভরে প্রত্যাখ্যান করবে এবং এর প্রতিবাদে সোচ্চার হবে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

গতকাল মঙ্গলবার জামুকার ৭২তম সভায় জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত হলো। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

জিয়াউর রহমানসহ এই পাঁচজন এবং তাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.