পদ্মাসেতু প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব

আবারও সময় বাড়ছে স্বপ্নের ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের’! এবার ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়াতে আবেদন করেছে সেতু বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে তারা।

ইতোমধ্যেই সময় বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব জানিয়ে সেতু বিভাগ চিঠি দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।

প্রস্তাব অনুযায়ী সময় বাড়ানো হলে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ৩০ জুন। এ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৮৩ শতাংশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। সেটার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। মেয়াদ বাড়ানো হবে কি হবে না, সেই সিদ্ধান্ত এই সপ্তাহেই আসবে আশা করি।

কোনো প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি হবে না তা নির্ভর করে আইএমইডির সিদ্ধান্তের ওপর। আইএমইডি প্রকল্পের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সময় বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়।

সূত্র জানায়, নতুন করে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন নাগাদ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে প্রকল্পের ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা থাকছে। এর আগেও কয়েকবার প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়। প্রথমবার ব্যয় বাড়ানো ছাড়া ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। এরপর দ্বিতীয় বার ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। এবার তৃতীয় দফায় আবারও ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, পদ্মাসেতু প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হবে। বর্তমানে প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। অবশিষ্ট বাস্তব কাজ সমাপ্ত করতে ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে এক বছর ডিফেক্ট নটিফিকেশন পিরিয়ডসহ ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রয়োজন বলে মনে করে সেতু বিভাগ। পদ্মাসেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের প্রস্তাব অনুযায়ী ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবটি পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইএমইডিকে বলা হয়েছে।

পদ্মাসেতুর মোট দৈর্ঘ্য ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হয়। শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যানটি বসলে পদ্মার বুকে সড়কপথের প্রথম দেড়শ মিটার দৃশ্যমান হয়। এরপর তিন বছর ধরে মোট ৪২টি পিলার বসেছে ৪১টি স্প্যান। বাকি কাজ সম্পন্ন করতেই সময় চেয়েছে সেতু বিভাগ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.