কুমিল্লায় সেনাসদস্য হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চলন্ত ট্রেনে আবদুর রহমান নামের এক সেনাসদস্যকে হত্যার দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আলী আক্কাছ নামের একজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি পলাতক রয়েছেন।

আজ সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার চম্পকনগর বাদারিয়া কলোনির মৃত রুহুল আমিন প্রকাশ বাদশা মিয়ার ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম, একই থানার উথারিয়া গ্রামের রেজু মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া ওরফে ইয়াছিন ওরফে পিচ্ছি ভাগিনা প্রকাশ কালা, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার মৌলভীপাড়া গ্রামের মৃত রফিক মিয়ার ছেলে জনি প্রকাশ নয়ন ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার মশাখালী গ্রামের আকাশী দাস প্রকাশ কালীদাসের ছেলে প্রদীপ দাস।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও গ্রামের হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান বগুড়া সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে গোত্রশাল দীঘির পশ্চিম পাশে তার মরদেহ ফেলে যান। খবর পেয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় পরদিন রাতে নিহত আবদুর রহমানের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাকসাম রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আতাউর রহমান তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার জানান, এ মামলার শুনানি চলাকালে ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে ফাঁসির রায় দেন এবং অপর আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.