ভারতে ভয়াবহ তুষার ধসে নিহত ১৪, নিখোঁজ ১৭০

ভারতের উত্তরাখণ্ডের চমোলি জেলায় হিমবাহ ভেঙে ভয়াবহ তুষার ধস নামায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় কমপক্ষে দেড় শতাধিক শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ভয়াবহ ওই বিপর্যয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

নিখোঁজ শ্রমিকরা তপোবন পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছিলেন। প্রশাসনের আশঙ্কা তাদের কেউই হয়তো বেঁচে নেই। সংবাদসংস্থা এএনআইকে উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ বলেন, আটকে পড়া পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনেকেই পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে থাকতে পারেন। নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুত প্রকল্পও তুষারধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তুষারধসের সময় ১৫০ জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। তারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, তাদের অনেকেই পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে থাকতে পারেন। নিহত এবং আহত লোকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

আসামে ক্যাম্পেইনে থাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইটে বলেন, ‘উত্তরাখণ্ডের পাশে রয়েছে ভারত এবং দেশবাসী সবার সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছে।’

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এই ঘটনা এত দ্রুত ঘটেছে যে কাউকে সতর্ক করার সময়ও পাওয়া যায়নি। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেছেন। তিনি বলেন, আমাদের কোনো ধারণা নেই যে কতজন নিখোঁজ রয়েছে।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাঁধ ভাঙা পানি নদীর দু’পাশের বাড়ি ঘর ভেঙে তীব্র গতিতে এগোচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইন্দো-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উদ্ধারকারী দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.