সোমবার রিং শাইনের কারখানা পরিদর্শনে যাবে বিএসইসি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুল আলোচিত কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন করবেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তারা। আগামীকাল সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এই পরিদর্শনে যাবে কোম্পানিটির আর্থিক সক্ষমতা যাচাইয়ে গঠিত বিএসইসির তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বিএসইসির পরিচালক ও রিং শাইন নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রিপন কুমার দেবনাথ, সংস্থাটির উপ-পরিচালক ও তদন্ত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার এবং মো. ইকবাল হোসেন রিং শাইনের কারখানা পরিদর্শন করবেন।

বস্ত্র খাতের এই কোম্পানির আইপিও এবং আইপিও-পরবর্তী জটিলতার প্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পুন:নিরীক্ষার জন্য বিশেষ নীরিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এছাড়া কোম্পানিটিকে পুনরায় উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কোম্পানিটিতে সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়।

রিং শাইনের কারখানা পরিদর্শনের বিষয়টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যানকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেছে বিএসইসি।

পরিদর্শনের বিষয়ে বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, রিং সাইনের আর্থিক সক্ষমতা যাচাইয়ে লক্ষ্যে গঠিত তদন্ত কমিটি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির উৎপাদন বন্ধের কারণ, প্রকৃত উৎপাদনের অবস্থা, উৎপাদন সক্ষমতা, মজুদ পণ্যের পরিমাণ, ভবিষ্যত ব্যবসায়িক পরিকল্পনাসহ আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় দেখতে কারখানা পরিদর্শন করবে। কারখানা পরিদর্শনের সময় রিং সাইনের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি থাকতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসূচককে বলেন, রিং শাইনের বিষয়ে কমিশনের তদন্তের অংশ হিসেবে তদন্ত কমিটির সদস্যরা কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন করবেন। কোম্পানিটির প্রকৃত অবস্থা জানা, বিশেষ করে এটিকে পুন:রায় উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার কতটুকু সুযোগ আছে- সে বিষয়গুলোও কমিশনের কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করবেন।

উল্লেখ, গত বছর প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসে রিং শাইন টেক্সটাইলস। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি বাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।

কোম্পানিটি আইপিওর আগে প্লেসমেন্টে ১৫০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে।

রিং শাইনের আইপিওর অনুমোদন পাওয়ার পর থেকেই নানা বিতর্ক শুরু হয়। অতি দুর্বল কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা নানা কারসাজির মাধ্যমে ভাল আর্থিক চিত্র দেখিয়ে কোম্পানিটিকে বাজারে নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ উঠে।

রিং শাইনের বিরুদ্ধে উঠা নানা অভিযোগের মধ্যেই গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটি তার কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এখনো কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ আছে। এটি কবে চালু হবে তা-ও স্পষ্ট নয়। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির ভাগ্য নিয়ে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগের মধ্যে আছেন।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.