কারাগারে আসামির নারীসঙ্গ: জেল সুপারসহ বরখাস্ত ১১

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে কারাবিধি লঙ্ঘন করে এক নারীর সঙ্গে হলমার্ক কর্মকর্তা তুষার আহমেদের সাক্ষাতের ঘটনায় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়, জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধাসহ ১১ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের আগেই দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এছাড়া আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি কারা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে এই ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কারা কর্তৃপক্ষ। গত ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি সুরক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। তাতে ১৮ কর্মকর্তা ও কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, তদন্ত কমিটি ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা, চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া, কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিবর্তে জেলা কারাগারে পদায়ন করা, কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পদায়ন করাসহ ২৫টি সুপারিশ করেছে।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কাশিমপুর কারাগারের ভেতরে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রংয়ের পোশাক পরে স্বাচ্ছন্দে ঘোরাফেরা করছিলেন কারাবন্দী হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ। তিনি আসার কিছু সময় পর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই বাইরে থেকে বেগুনি রংয়ের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। তাদের সহযোগিতার বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। পরে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে অপর দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করেন। তাকে সেখানে রিসিভ করেন ডেপুটি জেলার সাকলাইন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান সাকলাইন। এর আনুমানিক ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দী তুষার আহমদকে সেখানে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.