মিরাজের পর মুস্তাফিজের ঝলক

মেহেদী হাসান মিরাজের অনবদ্য সেঞ্চুরি আর মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং ঝলকে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনটাও নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এদিন বাংলাদেশের চেয়ে ৩৫৫ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করেছে। দ্বিতীয় দিন শেষে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান। দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। দিনের তৃতীয় ওভারেই জোমেল ওয়ারিকানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন। ওয়ারিকেনকে কাট করতে গিয়ে লেগবিফোর উইকেট হয়ে আউট হন লিটন।

৬৭ বলে ৩৮ রান করেছেন এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান। আর এর মধ্যে দিয়েই সমাপ্তি হয়েছে ৫৫ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটির। উইকেটে এসে সব আলো নিজের করে নিয়েছেন মিরাজ। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে চোখধাঁধানো একট স্কয়ার ড্রাইভে চার মেরে শুরু করেন তিনি। এরপর জোমেল ওয়ারিকেন, কেমার রোচ আর রাকিম কর্নওয়ালকে দারুণভাবে সামাল দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ৮ নম্বরে নামা এই ব্যাটসম্যান। এর আগে সাকিব আল হাসান ১১০ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন।

তিনি আউট হয়েছেন রাকিম কর্নওয়ালের বলে ক্রেইগ ব্রাথওয়েটেকে ক্যাচ প্র্যাক্টিস করিয়ে। তাঁর ইনিংসটি ছিল ১৫০ বলে ৬৮ রানের। সাকিব ফিরে গেলেও মিরাজকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তাইজুল ইসলামের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে তিনি গড়েছেন ৪৪ রানের জুটি। দীর্ঘ সময় ধরে ধীরগতির ব্যাটিং করলেও শেষ পর্যন্ত শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তাইজুল। ৭২ বলে ১৮ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর নাঈম হাসানকে নিয়ে ৫৭ রান যোগ করেন মিরাজ। নাঈমও ফিরে গেলে বন্ধু মুস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে ১৩ চারে ১৬০ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক।

বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেন ১০৩ রান। আর তাতেই ৪৩০ রানের বড় পুঁজি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুস্তাফিজের তোপের মুখে পড়ে ক্যারিবীয়রা। তারা দলীয় ২৪ রানের মধ্যেই হারায় দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। অবশ্য বাকি সময়টা দেখে শুনে পাড়ি দিয়েছেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট এবং এনক্রুমাহ বোনার। ব্র্যাথওয়েট হাফ সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থেকে দিন শেষ করেছেন। বোনার অপরাজিত আছেন ১৭ রান করে। এই দুজনের জুটি অক্ষত আছে ৫১ রানে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.