বাবরি মসজিদ নির্মাণে ফের বাধা, জমির মালিকানা দাবি দুই বোনের

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অযোধ্যায় মসজিদ তৈরির জন্য উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে মসজিদ নির্মাণের কাজ। কিন্তু বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) হঠাৎ করে নতুন এক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে কেন্দ্রের অনুমোদিত ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করেছেন দিল্লির দুই বোন। এমনকি নিজেদের জমি ফেরত পেতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন তারা।

২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানায়, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দিরই হবে। এরপর গত বছরের ৫ আগস্ট রামমন্দিরের ভূমিপুজো হয়। মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই রাম মন্দির থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ধন্নিপুর গ্রামে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মসজিদের জন্য পাঁচ একর জমি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

কিন্তু রানি কাপুর ওরফে রানি বালুজা এবং রমা রানি পাঞ্জাবী নামের দুই নারী দাবি করেছেন যে, ওই জমির মালিক তারা। এলাহাবাদ কোর্টে আবেদনে তারা জানিয়েছেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পাঞ্জাব থেকে ফৈজাবাদে চলে এসেছিলেন তাদের বাবা জ্ঞানচন্দ্র পাঞ্জাবী। এই এলাকা এখন অযোধ্যার মধ্যে পড়ে। ধন্নিপুর গ্রামের ২৮ একর জমি পাঁচ বছরের জন্য তাকে লিজ দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে তিনিই সেই জমি ভোগ করেছেন। রেভিনিউ রেকর্ডেও রয়েছে জ্ঞানচন্দ্রর নাম। তাই হিসেব মতো বর্তমানে ওই জমি রানি ও রমার।

তবে পরবর্তীকালে রেকর্ড খাতা থেকে জ্ঞানচন্দ্রর নামটি সরিয়ে ফেলা হয়। এর বিরুদ্ধে অযোধ্যার অ্যাডিশনাল কমিশনারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেও পরে ফের একই ঘটনা ঘটে।

কনসলিডেশন অফিসার বিষয়টি সমাধান করার আগেই ওই ২৮ একর থেকে পাঁচ একর জমি চলে যায় মসজিদের খাতে। আর সেই কারণেই এবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দুই বোন। আদালতের লখনউ বেঞ্চে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটির শুনানি হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ওয়াকফ বোর্ড।

সূত্র: দ্য হিন্দু।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.