ভারত থেকে এলো এক লাখ ১১ হাজার টন চাল

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারত থেকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে আমদানিকৃত চালের মধ্যে এক লাখ ১১ হাজার ৫২০ মেট্রিকটন চাল দেশে পৌঁছেছে।

আজ বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) ভোমরা, দর্শনা, বেনাপোল, সোনা মসজিদ, হিলি, বুড়িমারি, বাংলাবান্ধা, শেওলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে বেসরকারিভাবে মোট ৫৬ হাজার ৩৯১ টন চাল দেশে পৌঁছায়। এছাড়া সরকারিভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় চাল এসেছে ৫৫ হাজার ১২৯ টন।

খাদ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি পর্যায়ে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। পরে অনুমতির চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য গত ৩ জানুয়ারি ১০ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এক লাখ পাঁচ হাজার টন, ৪ জানুয়ারি ১২ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এক লাখ ৬০ হাজার টন এবং ৫ জানুয়ারি সাত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৬৫ হাজার টন, ৬ জানুয়ারি ৪৯ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এক লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টন, ১০ জানুয়ারি ৬৪ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এক লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এরপর ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৭২ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এক লাখ ৪১ হাজার টন চাল, ১৩ জানুয়ারি ৪৩ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এক লাখ ছয় হাজার ৫০০ টন চাল এবং ১৭ জানুয়ারি ৬৩ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৯১ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চাল আমদানি জন্য বৈধ আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.