ভালোবাসায় সিক্ত সেই মোল্লা, ফিরছেন বাড়ি

আব্দুল মান্নান মোল্লা দীর্ঘ ৪৯ বছর ধরে বিএফডিসিতে মুড়ি বিক্রি করছেন। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে পারেননি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ফিরে যেতে চান নিজ গ্রামে। কিন্তু তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। তাকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতার জন্য চলচ্চিত্র সাংবাদিকরা এগিয়ে এসেছেন। আয়োজন করেছেন ‘মোল্লার মুড়ি উৎসব’।

মোল্লা যাবে বাড়ি—এই স্লোগান সামনে রেখে মুড়ি উৎসবের আয়োজন করেন একদল তরুণ সাংবাদিক। গত ২৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে এই উৎসব শেষ হয় ৩১ জানুয়ারি। এবার লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনে কাটানো রঙিন দুনিয়াকে বিদায় জানাবেন আব্দুল মান্নান মোল্লা। যাবেন প্রিয় আঙিনায়। অসহায় এই মানুষটিকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানাতে চান তারা।

এই আয়োজনের পেছনে কাজ করেছেন মাজহার বাবু, আহম্মেদ তেপান্তর, রাহাত সাইফুল, এ এইচ মুরাদ, আসিফ আলম, রঞ্জু সরকার, রুহুল আমিন ভূঁইয়া। যারা প্রত্যেকেই সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত। তিনদিনের এ উৎসবে ব্যাপক সাড়া দেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। মুড়ি উৎসবে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেক শিল্পী। প্রিয় মোল্লাকে নিয়ে কেউ কেউ স্মৃতিচারণ করেন। ফিরে যান অতীতে। তিনদিনের এ উৎসবে মোট ১ লাখ ৮১ হাজার ৭০০ টাকা ওঠেছে। খুব শিগগির এই অর্থ ব্যয় করে আব্দুল মান্নান মোল্লার নিজ গ্রামে একটি দোকান ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। সেখানেই বাকি জীবনটা কাটাতে চান রঙিন দুনিয়ার এই মানুষ।

এই উৎসবের অন্যতম আয়োজক রাহাত সাইফুল বলেন, তিন দিনব্যাপী মোল্লার মুড়ি উৎসব’ সফলভাবে শেষ হয়েছে। এই উৎসব থেকে সংগৃহীত অর্থ খুব শিগগির মান্নান মোল্লা ভাইকে দেওয়া হবে। যারা মানবিক এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এছাড়া এই আয়োজনকে সফল করার জন্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম আমাদের সহযোগিতা করেছে, তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর এখন কেউ মোল্লা ভাইকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতে চাইলে সরাসরি তার সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।

উৎসবের সমাপনী দিনে হাজির হয়েছিলেন, অভিনেত্রী অঞ্জনা সুলতানা, প্রয়াত মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না, অভিনেত্রী আন্না, হল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি, আইরিন সুলতানা, রোমানা নীড়, চিত্রনায়ক আসিফ ইকবাল, শিপন মিত্র, জয় চৌধুরী, কায়েস আরজু, সাদমান সামী, অভি, প্রযোজক রাশেদ খান, জুলফিকার জাহেদী, নির্মাতা বুলবুল বিশ্বাস, রিয়াজুল রিজু, বাচসাসের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু, বাচসাসের সহ-সভাপতি সৈকত সালাউদ্দিন, কামরুজ্জামান মিলু, মহিউদ্দিন কাদের, ফটোগ্রাফার রফিকুল ইসলাম রনি, বাঁধন, মাসুদ রানা ও সৌরভ।

দ্বিতীয় দিনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, নাসরিন, চিত্রনায়িকা নিপুণ, বিপাশা কবির, অধরা খান, তানহা মৌমাছি, শাহ হুমায়রা সুবাহ, আসমা ঝিলিক, চিত্রনায়ক ইমন, বাপ্পী চৌধুরী, আদর আজাদ, প্রযোজক-নায়ক মুন্না, হৃদয় চৌধুরী, পরিচালক শামীমুল ইসলাম শামীম, রফিক সিকদার, শফিক হাসান, নাসির উদ্দিন মাসুদ, প্রযোজক রাজিব সারোয়ার, রিজভী, নজরুল রাজ, এস এইচ ভিশন, সহকারী পরিচালক সমিতি, প্রযোজক শেখ সানোয়ার ও রুবেল।

উৎসবের প্রথম দিনে হাজির হয়েছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, জায়েদ খান, প্রযোজক আলিমুল্লাহ খোকন, ফরমান আলী, জাহাঙ্গীর, চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহ আলম কিরন, শাহীন সুমন, সাইমন তারিক, আরিফুর জামান আরিফ, জসিম উদ্দিন জাকির, আবু রায়হান জুয়েল, চিত্রনায়িকা মৌমিতা মৌ, তানিন সুবাহ, অরিন, অভিনেতা হারুন রশিদ, আব্দুল হক, সাংবাদিক প্রতীক আকবর, এসকে মিডিয়া, পুলিশ কর্মকর্তা আল মামুন, চিত্রনায়ক সনি রহমান, অভিনেতা আজিজুল হাকিম সীমান্ত, নাট্যনির্মাতা সোহেল তালুকদার, প্রবীর দত্ত প্রমুখ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.