জরুরি অবস্থা শেষে নতুন নির্বাচন: মিয়ানমার সেনাবাহিনী

জরুরি অবস্থা শেষে মিয়ানমারে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। নতুন সামরিক জান্তার বৈঠক শেষে আজ সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং।

স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ট ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সামরিক বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর মিয়ানমারে এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়।

চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, দেশটির সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থা চলাকালীন ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার করা হবে এবং গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন পর্যালোচনা করা হবে।

সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন মায়াওয়াদ্দি টেলিভিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাবাহিনীর সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইংয়ের হাতে।

২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে জানিয়ে নতুন সংসদ অধিবেশন স্থগিতের দাবি জানিয়েছে সামরিক বাহিনী। তবে গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন।

এরপর সোমবার সকালে সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আটক করে অভ্যুত্থান ঘোষণা করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

সকাল থেকে জরুরি অবস্থা জারির পর রাজধানী নাইপিদোতে মোবাইল ফোন ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং রেডিওর প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন মায়াবতির সম্প্রচার চালু রয়েছে।

টেলিভিশনটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ৮ নভেম্বরের বহুদলীয় সাধারণ নির্বাচনে যে ভোটার তালিকা ব্যবহার করা হয়েছে তাতে গড়মিল পাওয়া গেছে। এ বিষয়টির সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন।

এতে আরও বলা হয়, ভোটার তালিকা নিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে, যার ফলে গণতন্ত্র নিশ্চিত সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে অস্বীকৃতি জানানো এবং উচ্চ ও নিম্নকক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে পার্লামেন্ট।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, এই সমস্যার সমাধান না হলে এটি গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। আইন অনুযায়ী, এই সমস্যার অবশ্যই সমাধান করতে হবে। একারণে ২০০৮ সালের সংবিধানের ৪১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আগামী এক বছর এই জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.