দেশের উন্নয়ন ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে: অর্থমন্ত্রী

দেশের উন্নয়ন ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, করোনার প্রার্দুভাবের আগে আমরা অর্থনীতির এক অনন্য উচ্চতায় উঠে এসেছি। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মসেতু নির্মাণ করছি। পায়রা, মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলি টানেল নির্মাণ হচ্ছে। যথা সময়ে বই পাচ্ছে। যাদের ঘর নেই, তাদের ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।

আজ সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী এসব কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে বিশ্ব এতো বড় অর্থনৈতিক মন্দা আর কখনও দেখেনি। এরমধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের ২০তম অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও পুঁজি বাজারের সূচক বেড়েছে। আমাদের জিডিপি ৩৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০৩৫ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৮তম অর্থনীতির দেশ। আর ২০৪১ সালে হবে ২০তম অর্থনীতির দেশে। করোনার মধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৪ ডলারে। প্রবাসী আয় ২৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। রিজার্ভ সাত গুণ বেড়ে ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের বড় অর্জন কৃষির বহুমুখীকরণ ও খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণতা অর্জন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালে আমরা দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছি। শেখ হাসিনা গত ১২ বছরে অভাবনীয় উন্নয়ন করেছেন যা রূপকথাকেও হার মানায়।

তারপরও আমাদের উন্নয়নের পথে আরও এগিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.