সু চি ও রাষ্ট্রপতিকে আটক করেছে সেনাবাহিনী

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শাসক দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রয়টার্স জানায় , আজ (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের আটক করা হয়েছে। এছাড়া সেনা সদস্যেরা বেশ কয়েকটি অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করেছে বলে জানিয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো এবং প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় সৈন্যরা নেমে পড়েছে। নেপিদোয় টেলিফোন ও ইন্টারনেট লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

গত বছর ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে অং সান সু চির দল এনএলডি বড় জয় পায়। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পেয়েছে ৩৪৬টি আসন। যা প্রায় মোট আসনের ৮৩ শতাংশ। অন্যদিকে সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। এমনকি রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ দায়ের করে। যদিও মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন ভোট কারচুপির বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। এরপর থেকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় বসতে পারে-এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সাল পর্যন্ত মিয়ানমার সামরিক বাহিনী দ্বারা শাসিত ছিল। অং সান সু চি ১৯৮৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বছর গৃহবন্দী জীবন কাটিয়েছেন। এরপর ২০১৫ সালে মিয়ানমারে অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনী ও সেনা-সমর্থিত সরকারের অবসান ঘটিয়ে সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় এনএলডি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.