দুর্নীতি সমাজের স্তরে-স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে: জি এম সিরাজ

ঘুষ-দুর্নীতি সমাজের স্তরে-স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য (এমপি) জি এম সিরাজ। দুর্নীতিবাজরা সরকারের মদদপুষ্ট বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ অভিযোগ করেন জি এম সিরাজ। এ সময় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

জি এম সিরাজ বলেন, ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, হত্যা, ধর্ষণ সমাজের স্তরে স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়গুলো রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে আসেনি। তাই আমি রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে ধন্যবাদ জানাতে পারছি না। এ জন্য আমি দুঃখিত। লুটপাটকারীরা বিভিন্ন দেশে টাকা পাচার করছে। এরা সবাই বর্তমান সরকারের মদদপুষ্ট। গত ১০ বছরে দেশের ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। কুয়েতে কারাদণ্ড হয়েছে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুলের। তিনি সংসদ কলঙ্কিত করেছেন, দেশ কলঙ্কিত হয়েছে। ব্যাংক মন্ত্রণালয় কোথায় নেই দুর্নীতি। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্নীতিবাজরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এখন নির্বাচন মানে মনোনয়ন পেলেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিজয়ের সার্টিফিকেট। জনগণের অর্থ হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে এ নির্বাচন করে কি লাভ।

জি এম সিরাজের এসব বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা বার বার আপত্তি করতে থাকেন। তারা হৈ চৈ করতে থাকেন, প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার সদস্যদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, জি এম সিরাজ বলছেন, তাকে বলতে দেন, প্রয়োজন হলে পড়ে আপনারাও বলবেন।

এ সময় জি এম সিরাজ বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমনে আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করবো। নারী উন্নয়ন, শিক্ষা খাতের উন্নয়নে আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করছি, ধন্যবাদ দিতে চাই।  আমরা সংসদে কম সদস্য হলেও জনগণ আমাদের বক্তব্য শুনতে চায়, আপনি (স্পিকার) শুনতে চান, প্রধানমন্ত্রী শুনতে চান। কিন্তু আওয়ামী লীগের সদস্যরা হৈ চৈ করছেন, এটা ব্যাড প্রাক্টিস। এ সংসদে আমি আগেও আওয়ামী লীগের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তখনও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন আমি এমপি ছিলাম। তখন এরকম দেখিনি, এখন বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।

জি এম সিরাজ তার বক্তব্য শেষ করার পর ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে আপনার দুটি কথা আমি পরে শুনে দেখবো, এক্সপাঞ্চ করার প্রয়োজন হলে করবো। আপনি গণতন্ত্রের কথা বলছেন, এ সংসদে আমার গায়ে আপনাদের দলের সদস্যরা থুথু ছিটিয়েছিল। আমি তখন আওয়ামী লীগ করতাম না, আমি জাতীয় পার্টি করতাম। গণতন্ত্রের কথা বললে আপনাকেও গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলতে হবে। ডেপুটি স্পিকার সব সংসদ সদস্যের উদ্দেশ্যে বলেন, সংসদীয় রাজনীতি করতে হলে সহনশীল মনের হতে হবে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.