করোনায় মৃত ২২ লাখ ছাড়াল

বিশ্বের ২১৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ২০ লাখ ছাড়িয়েছে।

আজ (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারস এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ কোটি ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬৮। এর মধ্যে ২২ লাখ ৯১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে সাত কোটি ৩৮ লাখ ৬৩ হাজার ৫২২ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ৬৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬০৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৪৩ হাজার ৭৬৯ জন আর সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ১২৭ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি সাত লাখ ২০ হাজার ৯৭১ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৪৭ জন আর সুস্থ হয়েছেনে এক কোটি তিন লাখ ৯৩ হাজার ১৬২ জন।

করোনা সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। সেখানে করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯০ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন দুই লাখ ২১ হাজার ৬৭৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৯ লাখ ২৩ হাজার ৭৯৪ জন।

তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ, যুক্তরাজ্য পঞ্চম, ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি রয়েছে দশম অবস্থানে। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম। এছাড়া ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তার বেশ কিছু দিন আগে থেকেই চীনে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়াতে শুরু করে। সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল উহান। প্রথমে উহানের সীমানা বন্ধ করে প্যানডেমিক মোকাবিলার চেষ্টা করে দেশের সরকার। তারপর কড়া লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। তারই মধ্যে করোনার সংক্রমণ ছড়াতে থাকে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.