ডিএনএ রিপোর্ট না আসায় পেছালো দিহানের মামলার প্রতিবেদন

রাজধানীর কলাবাগানের বন্ধুর বাসায় গিয়ে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি ইফতেখার ফারদিন দিহানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।

তবে তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান এদিন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবদনের জন্য আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান মঙ্গলবার বলেন, আসামি দিহানের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে, তবে রিপোর্ট পাইনি। আমরা ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগকে রিপোর্ট দিতে তাগিদ দিয়েছি। প্রতিবেদন পেলে পর্যালোচনা করে দ্রুতই অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে মর্মে আদালতকে অবহিত করা হয়েছে।

গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে বান্ধবী আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে দিহানের বিরুদ্ধে। দিহান নিজেই ভুক্তভোগী আনুশকাকে ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি দিনগত রাতে নিহত আনুশকার বাবা মো. আল-আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে আনুশকার প্রেমিক ইফতেখার ফারদিন দিহানকে। মামলায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ২ ধারায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

ওইদিন রাতেই এ ঘটনায় আনুশকার প্রেমিক ইফতেখার ফারদিন দিহানসহ চারজনকে আটক করেছে কলাবাগান থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুধু দিহানকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

পরদিন ৮ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৬ জানুয়ারি দিন রেখেছিলেন।

একইদিনে আসামি দিহান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে একই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

এরপর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ জানুয়ারি দিহানের ডিএনএ টেস্টের অনুমতি দেন আদালত। পরবর্তীতে ১৩ জানুয়ারি দিহান যৌনশক্তি বর্ধক কোনো ওষুধ ও মাদক সেবন করেছিল কিনা তা পরীক্ষার অনুমতিও দেন আদালত।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.