দেড়শর আগেই শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল ১০০ রানও ছুঁতে পারবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু রভমান পাওয়েল এবং টেল এন্ডার ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট সংগ্রহে দেড়শর কাছাকাছি পুঁজি পায় সফরকারীরা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৩.৪ ওভারে জেসন মোহাম্মদের দল অল আউট হয়েছে ১৪৮ রানে। দলটির সর্বোচ্চ স্কোরার পাওয়েল (৪১)। ৯.৪ ওভারে ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

টসে জিতে ব্যাট করতে নামা উইন্ডিজ ওপেনারদের শুরু থেকেই চাপে রেখেছিলেন রুবেল হোসেন এবং মুস্তাফিজুর রহমান। শুরুর ৪ ওভারে দুই-তিনটি ডেলিভারি ছাড়া সবকটি বলই মিডল অ্যান্ড অফ স্টাম্পের মধ্যেই রাখার চেষ্টা করেছেন তারা। যার সুফল এসেছে পঞ্চম ওভারেই।

ওপেনার সুনীল অ্যামব্রিসকে মাত্র ৬ রানে ডাগ আউটে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজ। স্টাস্পে পিচ করে একটু ভেতরে ঢোকে বল। বাড়তি একুট লাফিয়ে আমব্রিসের ব্যাটের কানায় লেগে বল উড়ে যায় গালিতে। লাফ দিয়ে ক্যাচ লুফে নেন মিরাজ। তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন জশুয়া ডি সিলভা। আরেক ওপেনার জর্ন ওটলিকে সঙ্গে পাওয়ার প্লে শেষ করেন তিনি। তবে ১৩তম ওভারে এসে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন ওটলে। ২৪ রান করে ফিরে যান এই ব্যাটসম্যান।

দুই বল পরেই সোজা বলে ডি সিলভাকে বোল্ড করেন এই স্পিনার। ২২ বলে ৫ রান করেন তিনি। পরের ওভারে অ্যান্ড্রি ম্যাকার্থিকে বোল্ড করেন সাকিব। দলীয় ৪১ রানে ৯ বল খেলে ০ রানে রান আউট হন কাইল মায়ার্স। এরপর জেসন মোহাম্মেদ ও নিকোমরা বোনার চেষ্টা করছিলেন জুটি গড়ে তোলার। তাদের এই প্রচেষ্টা খুব দীর্ঘায়িত হতে দেননি সাকিব। আর্ম বলে লেফ বিফরের ফাঁদে ফেলে ফেরান অধিনায়ক জেসনকে। দলীয় ৭১ রানে হাসানের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হন বোনার।

এরপর ৮৮ রানে মিরাজের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন রেমন্ড রেফিয়ার। ৮ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ানদের এই অবস্থা থেকে টেনে তোলেন রভম্যান পাওয়েল। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন আলজারি জোসেফ। এই জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি। তবে জোসেফকে ফিরিয়ে এই জুটি থামান মুস্তাফিজ।

অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তারা করতে গিয়ে ওয়াইড স্লিপ লিটনকে ক্যাচ দেন এই পেসার। তিনি ফেরেন ১৭ রান করে। সে সময় সফরকারীদের সংগ্রহ ৩৭.৩ ওভারে ৯ উইকেটে ১২০ রান। আকিল হোসেনের সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়লেও মিরাজকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ৪১ রানে স্টাম্পিং হন পাওয়েল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ১৪৮ রানে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.